মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ভগবান রাম ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে ভগবান হনুমান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন দেশটির মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। বুধবার এই বিজেপি রাজনীতিক আরও বলেন, বিশ্বের কোনো শক্তিই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বাস্তবায়ন ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি হলেন সিংহ, যিনি কোনো হুমকিকে ভয় পান না। এ খবর দিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
খবরে বলা হয়, চৌহান ভোপালে এক অনুষ্ঠানে প্রথমে নরেন্দ্র মোদিকে সিংহ হিসেবে আখ্যা দেন। এরপরই তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি যদি ভগবান রাম হন, তাহলে অমিত শাহ হলেন ভগবান হনুমান।
প্রসঙ্গত, হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী রাম একজন দেবতা। আরেক দেবতা হনুমান ছিলেন তার সহযোগী।
খবরে বলা হয়, গতমাসে জয়পুরে আরেক অনুষ্ঠানে মোদিকে খোদ প্রভুর সঙ্গে তুলনা করেন চৌহান। বিশেষ করে, নাগরিকত্ব আইনের সংশোধন পাশ ও ভারতের বাইরের অমুসলিমদের ভারতের নাগরিকত্ব পাইয়ে দেওয়ার বিধান চালু করায় তিনি মোদির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
ডিসেম্বরে পাস হওয়া নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হয়েছে জানুয়ারির ১০ তারিখ।
তবে সংশোধিত এই আইন পাশের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, এই আইন বৈষম্যমূলক, বিভেদমূলক ও অসাংবিধানিক, কেননা এখানে নাগরিকত্ব করার ক্ষেত্রে ধর্মকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা আইনটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
বিজেপি শাসিত নয় এমন চারটি অঙ্গরাজ্য, অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, কেরালা ও পাঞ্জাবের আইনসভায় এই আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাবনা পাশ হয়েছে। এছাড়া কেরালা অঙ্গরাজ্য কর্তৃপক্ষ আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে।
তবে নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে গেছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, এই আইনটি প্রত্যাহারের প্রশ্নই আসে না। বিজেপি বলছে, বিরোধী দলগুলো এই আইনের ব্যাপারে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। দলটি বলছে, নাগরিকত্ব প্রদানের জন্যই এই আইন করা হয়েছে; নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়। কিন্তু আইনের সমালোচকরা বলছেন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জির সঙ্গে একই সময় এই আইন পাশ করার কারণে বহু মুসলিম নাগরিক রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়তে পারেন। মঙ্গলবার এক খসড়া প্রস্তাবনায় ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট বলেছে, ভারতের নাগরিকত্ব আইন বৈষম্যমূলক, বিপজ্জনক ও বিভেদসূচক। প্রস্তাবনায় ভারত সরকারের প্রতি আইনের বৈষম্যমূলক সংশোধনীসমূহ বাতিলের আহবান জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।