বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পুলিশের হাতে আটক সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল কাইয়ুম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছাড়া পেয়েছেন। তার মুক্তিতে আন্দোলনে নেমেছিল উপজেলা ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় সিলেটে তোলপাড় চলছে। জানা যায়, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ থানার যৌথ অংশে ধুপড়িয়া বিল নিয়ে সৃষ্ট ঘটনায় অর্থনৈতিক দুর্নীতি, প্রভাববিস্তার উত্তেজনা সৃষ্টির দায়ে মঙ্গলবার রাতে আটক করা হয় আব্দুল কাইয়ুমকে। আটকের পর তার মুক্তির দাবিতে গভীর রাতে মিছিল করে ফেঞ্চুগঞ্জ ছাত্রলীগ।
পরবর্তীতে বুধবার সকাল থেকে আন্দোলন বিক্ষোভ করে সড়কে অগ্নিসংযোগ করে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় ফেঞ্চুগঞ্জ সেতুর দুইপাশে যানবাহন আটকে যায়। পরে আব্দুল কাইয়ুমকে মুক্তি দেয় ফেঞ্চুগঞ্জ থানা। এ ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান জানান, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ দায়িত্ব নিয়েছে যে আব্দুল কাইয়ুমের উপর অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে নিরসন করবেন তাই উনাকে আপাতত ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আব্দুল কাইয়ুমকে আটক ও পরবর্তীতে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় ভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ফেঞ্চুগঞ্জ থানা। আটকের পরপর ফেঞ্চুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, দুপড়িয়া বিল নিয়ে উত্তেজনা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক দুর্নীতির অভিযোগে আব্দুল কাইয়ুমকে আটক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, কেউ পুলিশের উপস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটাতে চাইলে তাকে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা পুলিশের দায়িত্ব। অথচ পরক্ষণে ওসি বললেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ দায়িত্ব নেয়ায় কাইযুমকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের লিখিত 'জিম্মানামা'র ভিত্তিতে আব্দুল কাইয়ুমকে ছাড়া হয়েছে। তবে ওই স্বাক্ষরকৃত ওই জিম্মনামাটি সাংবাদিকদের দেখাতে অসম্মতি জানিয়ে ওসি বলেন, 'অফিসিয়াল বাধ্যবাধকতা আছে তাই দেখাতে পারছি না।'
অপরদিকে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত আলী বলেন, আমি বা আওয়ামী লীগের কোনো নেতা 'জিম্মানামায়' স্বাক্ষর করিনি। একই বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসম্পাদক নানা মুহিব উদ্দিন বাদল। মুহিব উদ্দিন বাদল এ বিষয়ে বলেন, আমরা বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শওকত আলী, সহসভাপতি রাজু আহমেদ রাজা, দপ্তর সম্পাদক মাহফুজুর রহমান জাহাঙ্গীর, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুনেদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ফারহান সাদিক, উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সেকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ ও যুগ্মসম্পাদক শেখ টিটু প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।