মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি হাত বাড়িয়ে দিলেন। কিন্তু তার সঙ্গে করমর্দন করলেন না প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন বক্তব্য দেয়ার আগে ট্রাম্প তাকে বক্তব্যের একটি কপি তুলে দিলেন। তখনই ঘটলো এ ঘটনা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার বক্তব্য শেষ করলেন। দাঁড়িয়ে গেলেন ন্যান্সি পেলোসি। তার হাতে ট্রাম্প বক্তব্যের যে কপি দিয়েছিলেন, তিনি তা ক্ষোভের সঙ্গে টেনে ছিঁড়ে ফেলেন। পরে সাংবাদিকদের বলেছেন, বিকল্প হিসেবে এটাই ছিল সাহসিকতার কাজ।
এর মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির মধ্যকার সম্পর্ক টগবগ করে ফুটছে উত্তেজনায়। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এমনিতেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব প্রতিনিধি পরিষদে পাস হয়েছে। তাতে স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির বড় ভূমিকা রয়েছে। ফলে তার ওপর প্রচন্ড ক্ষোভ রয়েছে ট্রাম্পের। ওদিকে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে অভিশংসন প্রস্তাবের বিচার প্রক্রিয়া প্রায় শেষের পথে। তাতে রেহাই পাবেন ট্রাম্প। এমন প্রেক্ষাপটে তিনি মঙ্গলবার স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ রাখেন। ৮০ মিনিটের ওই বক্তব্য দেয়ার আগে ট্রাম্প বক্তব্যের একটি কপি তুলে দেন ন্যান্সি পেলোসির হাতে। এ সময় ন্যান্সি পেলোসি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে করমর্দন করতে হাত বাড়ান। কিন্তু ট্রাম্প তা প্রত্যাখ্যান করেন। চার মাস আগে হোয়াইট হাউজের এক বৈঠক থেকে ঝড়ো গতিতে বেরিয়ে এসেছিলেন পেলোসি। তারপর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এটাই তার প্রথম সাক্ষাত।
ট্রাম্পের ওই আচরণে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন পেলোসি। কংগ্রেসে প্রেসিডেন্টকে সম্বোধন করতে গিয়ে যেসব প্রশংসা বা সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করার প্রচলিত রীতি রয়েছে তিনি তা ব্যবহার করেন নি। ট্রাম্পকে সম্বোধন করতে গিয়ে তিনি ইংরেজিতে শুধু এটা বলেছেন, ‘মেম্বারস অব কংগ্রেস, দ্য প্রেসিডেন্ট অব দ্য ইউনাইটেড স্টেটস’। এরপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার বক্তব্য শেষ করেন। দাঁড়িয়ে যান পেলোসি। ট্রাম্প তাকে বক্তব্যের যে কপিটি দিয়েছিলেন তা টেনে ছিড়ে ফেলেন।
ওদিকে ট্রাম্প যখন বক্তব্য দেয়া শুরু করেন তখন রিপাবলিকান সদস্যরা ‘আরো চার বছর’ স্লোগান দিতে থাকেন। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তারা আরেক মেয়াদে ক্ষমতায় দেখতে চান। কিন্তু ডেমোক্রেটরা নীরবে বসে রইলেন। ট্রাম্প যখন বললেন, আমাদের যুক্তরাষ্ট্র আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী, তখন তারা শুধু মাথা ঝাঁকাচ্ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।