Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

নামের ভুলে ৯ দিন হাসপাতালে পড়েছিল লাশ

অবশেষে ভারত থেকে আনা হল ঠাকুরগাঁওয়ের আরশাদের লাশ

ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:৫৯ পিএম

অবশেষে মৃত্যুর ৯ দিন পর দেশে ফেরৎ আসলো ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করা ঠাকুরগাঁওয়ের আরশাদ আলীর। তিনি স্থানীয় আলিম উদ্দীন নামে এক ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে ভারতে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। জয়পুরহাট ২০ বিজিবি’র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল রাশেদ মোঃ আনিসুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হিলি সীমান্তে মঙ্গলবার সকাল ১০-৩০ মিনিটে তার লাশ গ্রহণ করা হয়। আরশাদ আলীর পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছেলে নুর জামালের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।

চিকিৎসা করাতে গিয়ে ভারতের উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে অসুস্থতায় মৃত্যু হয় আরশাদ আলির (৬৩)। তাঁর বাড়ী ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের ইউলিয়াটুলি গ্রামে।

গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) তার মৃত্যু হলেও পাসপোর্টের উল্লেখিত নামের সাথে জাতীয় পরিচয়পত্রের নামের পুরোপুরি মিল না থাকার কারণে মরদেহ ফেরত দেয়নি ভারতের বালুবাড়ী ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা।

মৃত্যুর ৯ দিন পর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্ধর দিয়ে তার লাশ বাংলাদেশে আসলে বাংলাদেশ পুলিশ ও বিজিবি'র সহায়তায় তাকে নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান তার দুই ছেলে নুরজামান ও নুর ইসলাম। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তার লাশ তার নিজ বাড়িতে পৌঁছায় বলে জানায় তার পরিবার।

এর আগে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হলে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) হাসপাতালের মর্গে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহের ময়নাতদন্ত করা হয় বলে ভারতীয় গণমাধ্যম সুত্রে জানা গেছে। ময়না তদন্তের পর বাকি দিনগুলি হাসপাতালের মর্গেই তার মরদেহ পড়ে ছিল।
আরশাদ আলীর ছেলে নুর ইসলাম জানান, বাবার পাসপোর্টে মোহাম্মদ উল্লেখ ছিল না। আর জাতীয় পরিচয়পত্রে মোহাম্মদ উল্লেখ রয়েছে। বাবার মৃত্যুর পর আমরা মরদেহ চাইলে নাম নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। পরে আমরা হিলির স্থলবন্দরের পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের সহযোগিতা নিয়ে মরদেহ ফেরত চাইলে মঙ্গলবার সকালে ফেরত দেয় বিএসএফ সদস্যরা।

বুধবার সকালে আরশাদ আলির নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি হাসিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লাশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ