Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ওমানে মৌলভীবাজারের ৩ যুবক নিহত

মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

 ভিটে মাটি বিক্রি করে ওমানে পাড়ি দিয়ে ছিলেন পরিবারে সচ্ছলতা ফিরে আনবেন। কিন্তু একটি দুর্ঘটনা সেই স্বপ্ন নিমিশেই শেষ করে দিল। ওমানের আদম এলাকায় একটি প্রাইভেট কার ধাক্কা দিয়ে মৌলভীবাজারের ৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিল। গত রোববার বিকেলে ওমানের জুবার আদম এলাকায় এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

ওমানের ওই এলাকায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিক ও নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সময় ৪টার দিকে কাজ শেষে বাইসাইকেল যোগে বাসায় ফেরার সময় দ্রæতগতির একটি প্রাইভেট গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই ৩ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় কুমিল্লার আরো একজন নিহত ও ১ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের বিলেরপার গ্রামের লিয়াকত আলী (৩৩), শরীফপুর ইউনিয়নের সঞ্জরপুর গ্রামের সবুর আলী (৩২) ও কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের চিতলীয়া বাজারের টিলালাইন এলাকার আলম মিয়া (৩৭)।

কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের সঞ্জরপুর গ্রামের মরহুম শহীদ আলীর পুত্র সবুর আলী ভিটে মাটি বিক্রি করে প্রায় ৪ বছর আগে পাড়ি দেন ওমানে। যাওয়ার সময় স্ত্রী আছিয়া বেগম, ২ মেয়ে ও ১ এক পুত্রসন্তানকে রেখে যান একই এলাকায় শ্যালিকার বাড়িতে। তার স্বপ্ন ছিল ওমানে রোজগার করে আবার দেশে ফিরে নিজের জন্য বাড়ি কিনবেন। কিন্তু সে স্বপ্ন তার পূরণ হল না।

একই উজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের বিলেরপার গ্রামের মরহুম মুসলিম আলীর ছোট ছেলে লিয়াকত আলী প্রায় ৪ বছর আগে ওমানে যান। স্ত্রী ও ৯ বছর বয়সের এক পুত্র সন্তান রেখে যান। অসুস্থ মাকে চিকিৎসার জন্য প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা পাঠাতো ওমান থেকে। কথা ছিলো দেশে ফিরে মাকে বড় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন।

পার্শবর্তী কমলগঞ্জ উপজেলার চিৎলিয়া বাজার এলাকার আব্দুল বাছিতের ছেলে আলম মিয়া পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার আশায় বাড়িতে স্ত্রী ও ২ সন্তানকে রেখে ধার-দেনা করে ৬ মাস পূর্বে ওমানে পাড়ি দেন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিহত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ