Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কখনোই সুখের ছিল না ইইউর সঙ্গে ব্রিটেনের বৈবাহিক জীবন

ব্রিটেনের জন্য উপযুক্ত নয় ইইউ : বরিস

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০৩ এএম

 ৪৭ বছর আগে ১৯৭৩ সালের পহেলা জানুয়ারি মধ্যরাতে ব্রিটেন ইউরোপিয়ান ইকোনোমিক কমিউনিটিতে প্রবেশ করেছিল। তখন প্রথম ইউরোপিয়ান কমিশনার এবং সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের জামাতা ক্রিস্টোফার সোয়ামস বলেছিলেন, ব্রিটেন একটি দুঃসাহসিক কাজ শুরু করল। ৪৭ বছর ২৯ দিন ২২ ঘণ্টার মাথায় সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, বর্তমানের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ব্রিটেনের জন্য উপযুক্ত নয়। সময়ের পরিবর্তনে মানুষের সম্পর্কে যে কতটা পরিবর্তন হয়েছে তা ব্রেক্সিট থেকেই ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। একদিকে অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলানো এবং অন্যদিকে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার দাবি মেটানোটা ‘স্বাধীন’ ব্রিটেনকে কতদ‚র নিয়ে যাবে বা শেষ পর্যন্ত এই জট আদৌ কাটবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে বিশেষজ্ঞদের। কিছু বিশ্লেষক বলছেন, ইইউর সঙ্গে ব্রিটেনের বৈবাহিক জীবনটা কখনোই সুখের ছিল না। তবে ইইউ যে ভাঙবে না তাও বলা দুষ্কর। ব্রিটেন একটি শাসক রাষ্ট্র হিসেবেই পরিচিত। বিশ্বের অনেকগুলো দেশেই ঔপনিবেশিক শাসন চালিয়েছে। ভারতবর্ষেও ২০০ বছরের বেশি শাসন করেছে। কিন্তু সেই ব্রিটেন নাকি স্বাধীন হলো গত শুক্রবার রাত ১১টায়। দেশটি নাকি সার্বভৌমত্বও ফিরিয়ে পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বরিসের কথায়ও এর আভাস পাওয়া গেছে। তিনি ব্রিটেনে নতুন যুগের স‚চনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। ব্রেক্সিটপন্থিরা বলছেন, যুক্তরাজ্য স্বাধীন দেশ, ইইউর অংশ নয়, ইউরোপের ম‚ল ভ‚মি থেকে নিয়ন্ত্রণহীন অভিবাসন হবে না, ইইউর তহবিলে যুক্তরাজ্যকে শত শত কোটি পাউন্ড চাঁদা দিতে হবে না, যুক্তরাজ্যের ব্যবসা-বাণিজ্য ব্রাসেলসের খবরদারি থাকবে না, ব্রিটিশ আইনের ওপর থাকবে না ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিসের কর্তৃত্ব, ব্রিটিশ জেলেরা সমুদ্রসীমায় ইচ্ছেমতো মাছ ধরতে পারবে ইত্যাদি। ব্রিটেন সত্যিই স্বাধীন! : ব্রেক্সিটপন্থিরা যে কারণে স্বাধীন বলছেন, আপাতত সেটি কিন্তু হচ্ছে না। সবকিছু আগের মতোই থাকবে, অন্তত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ওপরের নীতিগুলো কার্যকর হবে ২০২১ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে। তবে এর আগে ব্রিটেন ও ইইউর মধ্যে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে হবে। ব্রেক্সিটপন্থিদের কাছে শুক্রবার ছিল উল্লাসের, আর বিরোধীদের কাছে শোকের দিন। ব্রিটেনে এমন অনেক দম্পতি আছে যাদের একজন ব্রিটিশ ও আরেক জন ইউরোপের কোনো দেশের। এতদিন তারা যেন একই দেশের নাগরিক ছিলেন যখন খুশি আসা-যাওয়া ও চাকরি-বাকরি করতে পারতেন। ব্রেক্সিট তাদের সেই সম্পর্কে বজ্রাঘাত করে ভিন্ন দেশের বাসিন্দা বানিয়ে দিয়েছে। গার্ডিয়ান, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্রিটেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ