Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতের সংসদে এমপিদের কণ্ঠে আজাদি স্লোগান!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৪:২১ পিএম

শুরু হয়েছিল দিল্লির শাহীনবাগ থেকে। তারপর ভারতের বিভিন্ন এলাকায় সিএএ বিরোধী বিক্ষোভের সময় ‘আজাদি’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়েছে রাজপথ। সেই বিক্ষোভ এবার সংক্রমিত হলো ভারতের লোকসভাতেও। রাজপথ ছেড়ে এবার ‘আজাদি’ স্লোগানে কাঁপলো ভারতের সংসদ।

সোমবার লোকসভা অধিবেশনের শুরুতেই কংগ্রেস সাংসদরা হাতে সিএএ-এনআরসি বিরোধী পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। মূহুর্মূহু স্লোগান উঠতে থাকে-‘এনআরসি সে আজাদি, সিএএ সে আজাদি।’ এর নেতৃত্বে ছিলেন আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা তরুণ গগৈ। জামিয়া মিলিয়া, শাহীনবাগে পরপর হামলার ঘটনা নিয়েও প্রতিবাদ জানান তারা। এসবের জেরে অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বের পর আর লোকসভার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। দিনের প্রথমার্ধ্ব অধিবেশন মুলতবি হয়ে যায়। রাজ্যসভায় অবশ্য বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে এদিন কোনও কাজই শুরু করা যায়নি।

তরুণ বামনেতা কানহাইয়া কুমারের হাত ধরে ভারতবাসী শুনেছিলেন ‘আজাদি’ স্লোগান। সিএএ-এনআরসি নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে দিল্লির রাজপথ থেকে তা ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের সর্বত্র। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতায় এখন সর্বত্রই কানহাইয়ার স্বর প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। তবে নজিরবিহীনভাবে এবার আন্দোলনের সেই ধারালো স্লোগান ঢুকে পড়ল সংসদের অভ্যন্তরে।

সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কংগ্রেস সাংসদরাই এবার তুললেন ‘আজাদি’ স্লোগান। সোমবার অধিবেশনের শুরুতেই লোকসভা কক্ষ মুখর হয়ে উঠল-‘এনআরসি সে আজাদি, সিএএ সে আজাদি’-এই বাক্যবন্ধে। জামিয়া, শাহীনবাগে ঘনঘন গুলি চালনার ঘটনা নিয়েও প্রতিবাদে ফেটে পড়েন তারা। এর জেরে প্রথমার্ধ্বে লোকসভার কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়।

আজ কংগ্রেসের প্রতিবাদের তালিকা ছিল আরও লম্বা। এক ঘণ্টার প্রশ্নোত্তর পর্বে আজ ছিল অর্থ বিষয়ক আলোচনা। তাতে গরহাজির ছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তার অনুপস্থিতিতে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। কিন্তু যতবারই অনুরাগ বলার জন্য উঠে দাঁড়াচ্ছিলেন, ততবারই স্লোগান তুলে তাকে বক্তব্য পেশ করতে বাধা দিচ্ছিলেন কংগ্রেস সাংসদরা।

কিছুক্ষণ এসব চলার পর শাসকদলের সাংসদরা পাল্টা নিন্দায় মুখর হন। শাসকদলের সাংসদদের পক্ষ থেকে বলা হয়, যারা গণতন্ত্র বাঁচানোর কথা বলছেন, তারাই আলোচনায় বাধা দিয়ে গণতন্ত্রকে বিপন্ন করে তুলছেন। তাদের উচিত, জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেদের কর্তব্য ঠিকমতো পালন করা।

এদিকে, লাগাতার বিক্ষোভের জেরে প্রশ্নোত্তর পর্বের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রশ্ন করতে পারেননি হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। সংসদের বাইরে বেরিয়ে জামিয়ার ছাত্রদের সমর্থন করে তিনি বলেন, ছেলেমেয়েদের আন্দোলনের পাশে আছি। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ