নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এই মৌসুমে অবস্থাটাই এমন, ম্যাচ শেষে লিভারপুলের কীর্তিগাথার বর্ণনাই হয়ে গেছে রুটিন। একেকটা ম্যাচ যায়, ইয়ুর্গেন ক্লপের দুর্দমনীয় দলটা নতুন কোনো রেকড গড়ে বসে। নিজেদের মাঠে পরশু লিগে সাউদাম্পটনকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে লিভারপুল। তাতে নতুন এমন এক কীর্তি হয়েছে, যা প্রিমিয়ার লিগ যুগে তো নয়ই, আগেও কখনো দেখেনি ইংলিশ ফুটবলের সর্বোচ্চ স্তর। এ জয়ের পর লিগে ২৫ ম্যাচে ২৪ ও ১ ড্র নিয়ে ৭৩ পয়েন্ট হলো লিভারপুলের, দুইয়ে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে ১ ম্যাচ বেশি খেলে অলরেডরা এগিয়ে ২২ পয়েন্টে! এখন পর্যন্ত যা হিসেব, তাতেই অনন্য কীর্তি লিভারপুলের। আগের প্রথম বিভাগের হিসেব করুন বা এখনকার প্রিমিয়ার লিগ। ইংলিশ ফুটবলের সর্বোচ্চ স্তরে কোনো নির্দিষ্ট দিন শেষে লিগ শীর্ষে থাকা আর কোনো দল এর আগে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় দলের চেয়ে ২২ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল না। ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের যখন এই উড়ন্ত অবস্থা, বিপরীত দিকে ক্রমেই মাটির নিচে নামছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। হারের ভাগ্য বদলাতে দলে এসেছেন পর্তুগালের ব্রুনো ফার্নান্দেস। স্পোর্তিং লিসবন থেকে তার আগমন নিয়ে দলটিতে উচ্ছ¡াসের কমতি ছিল না। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগে অভিষেকের দিনে দলকে জেতাতে পারেননি এই মিডফিল্ডার। একই দিনে ম্যানইউর সঙ্গে উলভারহ্যাম্পটনের ম্যাচটি শেষ হয়েছে গোলশ‚ন্য ড্রয়ে।
অবশ্য অভিষেক ম্যাচে একেবারেই বিবর্ণ ছিলেন না ফার্নান্দেস। বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও তা রুখে দিয়েছেন তারই স্বদেশি ও উলভস গোলকিপার রুই প্যাত্রিসিও। একবার তো ফার্নান্দেসের শট রুখতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল প্রায় ফেলে দিচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত হয়নি তা। পুরো ম্যাচে তার নেওয়া শটের সংখ্যা ছিল দলের সবার চেয়ে বেশি, মোট ৫টি!
দলীয়ভাবেও বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল ম্যানইউ। কিন্তু একবারও জাল কাঁপাতে পারেনি তারা। সুবর্ণ সুযোগটি ছিল ম্যাচ শেষের মুহ‚র্তে। অ্যারন ওয়ান বিসাকার ক্রস থেকে হেড নিয়েছিলেন বদলি ডিয়োগো দালোত। কিন্তু লক্ষ্যের বাইরে দিয়ে চলে গেছে তা। আগের দুই ম্যাচেই হেরেছে ম্যানইউ। সর্বশেষ ৫ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ মাত্র ৪ পয়েন্ট। ২৫ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে তাদের অবস্থান ষষ্ঠ।
এবার আবার আসি লিভারপুল-সাউদহ্যাম্পটন ম্যাচে। দুই দলই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ চালায় প্রথমার্ধে। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি কোনও দল। তবে বিরতির পর দোর্দÐ প্রতাপে খেলে লিভারপুল। চার গোলের তিনটিই করিয়েছেন ফিরমিনো। গোলের প্রথম সুযোগ পান সালাহ। ২০ মিনিটে ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ডের ক্রস থেকে অ্যালেক্স ওক্সলেইড চেম্বারলেইন বল পাঠান বক্সের দিকে। বক্সের প্রান্তে বল পেয়ে মিসরীয় ফরোয়ার্ড গোলমুখ খুলেই ফেলেছিলেন, কিন্তু তার শট জেমস ওয়ার্ড-প্রউস বøক করেন।
বিরতির পর ম্যাচ ঘড়ির কাঁটা ঘণ্টায় পৌঁছাতেই ২-০ করে স্বাগতিকরা। আলেক্সান্ডার-আর্নল্ডের ক্রস থেকে বাঁদিকে বল পান ফিরমিনো। বক্সে ঢুকে বল বাড়িয়ে দেন জর্ডান হেন্ডারসনকে। লিভারপুল অধিনায়ক জায়গামতো বল পেয়ে জাল কাঁপান। অলরেডদের জয় সুনিশ্চিত হয় সালাহর গোলে। ৭২ মিনিটে আলিসনের কিক থেকে ডানদিকে বল পান হেন্ডারসন। এরপর পাস দেন সালাহকে। মিসরীয় ফরোয়ার্ড বাঁ পায়ের শটে করেন ৩-০। ৬ মিনিট পর ডাবল সেভে ম্যাকক্যার্থি ব্যর্থ করেন ফিরমিনো ও ফ্যাবিনিয়োকে। শেষ দিকে ফিরমিনোর বাড়িয়ে দেওয়া বলে সালাহর শট স্টেফেন্সের গায়ে লেগে জালে জড়ায়। যেভাবে চুটে চলছে লিভারপুল, তাতে স্বাভাবিকভাইে প্রশ্ন জাগে ‘অদম্য লিভারপুলকে রুখবে কে?’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।