মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে গতকাল জোর করে আদিবাসী তরুণীদের জোর করে ধর্মান্তর করিয়ে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এই ঘটনায় মালদহের গাজোলের আলমপুর এলাকায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশও।
ঘটনার সূত্রপাত একটি গণবিবাহের আসর ঘিরে। গাজোলের আলমপুরে প্রায় ২০০ যুবক-যুবতীকে নিয়ে গণবিবাহে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)। অভিযোগ, সেখানে আদিবাসী তরুণীদের উপর চাপ দিয়ে তাদের ধর্মান্তরিত করেছেন ভিএইচপি নেতারা। তারপর তাদের বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন তারা। বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন আচমকাই ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির জনা কয়েক সদস্য সেখানে হাজির হয়ে অশান্তি বাঁধিয়ে দেন। তারা অভিযোগ করেন, হিন্দু মতে তাদের বিয়ে দেয়া হচ্ছে। যা আদিবাসী সম্প্রদায়ের রীতি বিরোধী। তাই তারা এই বিয়ে কিছুতেই মেনে নেবেন না। এই অভিযোগ ঘিরে দু’পক্ষের ঝগড়া শুরু হয়। তারপর তা হাতাহাতিতে পৌঁছয়। হাতে লাঠি, বাঁশ নিয়ে ভিএইচপি কর্মীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গাজোল থানার পুলিশ। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে এক পুলিশ কর্মী আক্রান্ত হন। দিনেদুপুরে উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। ৩৪ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির সদস্যরা। আধঘণ্টা পর সেই অবরোধ তুলে দেয়া হয়। অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে ফের শুরু হয় গণবিবাহের অনুষ্ঠান।
এ নিয়ে ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির এ রাজ্যের এক সদস্য স্পষ্টই বললেন, ‘আদিবাসীরা হিন্দু নয়, তারা প্রকৃতির উপাসক। তাই হিন্দু মতে আদিবাসীদের বিয়ে হয় না। আমরা এই বিয়ের অনুষ্ঠান মেনে নেব না। এভাবে ধর্মান্তকরণ করে তারা গোটা ভারতের আদিবাসী সমাজকে অপমান করছেন।’ অন্যদিকে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতার পালটা দাবি, ‘ওদের উপাসনার পদ্ধতি আলাদা হতে পারে। কিন্তু ধর্ম নিয়ে ওদের ভুল বোঝানো হয়। ওরা হিন্দুদেরই অংশ।’ প্রতি বছর এখানে গণবিবাহের আয়োজন হয়। এবার সেই বিয়ের আসর ঘিরে এমন ধুন্ধুমার কাণ্ডে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। তাদের নিরাপত্তায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।