মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের বাজেট ২০২০ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তার দাবি, এই বাজেটের আগে ভারতীয় অর্থনীতি আইসিইউতে ছিল এবার অবশ্যই ভেন্টিলেশনে যাবে।
বাজেট প্রতিক্রিয়ায় শনিবার অমিত মিত্র বলেন, ‘জনগণ-বিরোধী, ভাবনাহীন এই বাজেট মানুষকে সবদিক দিয়ে পিরামিডের একদম নীচে ঠেলে দেবে।’ তিনি দাবি করেছেন, ভারতীয় অর্থনীতি বিপন্ন হওয়ার যে কারণ, সেই কারণগুলো সমধান করার দিশা দেখানো হয়নি এই বাজেটে। তিনি বলেছেন, জিডিপি'র হার ১১ বছরে সর্বনিম্ন, বিনিয়োগ সূচক ১১ বছরে সর্বনিম্ন, উৎপাদন ক্ষেত্রের হাল ১৫ বছরে সর্বোচ্চ খারাপ। কৃষি ক্ষেত্রের অবস্থাও খারাপ। এই সব ক্ষেত্রে কীভাবে উন্নতি সম্ভব বলা হয়নি বাজেটে।
আয়কর প্রদান ব্যবস্থা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অমিত মিত্র বলেন, ‘পুরোটাই ধোঁকাবাজি। আপনাকে এক হাতে দেয়া হচ্ছে, অন্য হাতে সব নিয়ে নেয়া হছে।’ তিনি বলেছেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস দলের তরফে আমি দাবি করতে পারি, এই বাজেট দিশাহীন, ভাবনাহীন এবং দীর্ঘ চিন্তার ওপর ভিত্তি করে পেশ করা হয়নি। যার মূল্য চোকাতে হবে সাধারণ মানুষকে।’ এলআইসি’র বিলগ্নিকরণ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘অলাভজনক সম্পদ হিসেবে জীবন বীমা নিগম ইতিমধ্যে আইসিইউ-তে ঢুকে গিয়েছে। এবার একে বেসরকারি হাতে তুলে দিয়ে গ্রাস করানো হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বাজেট পরিকল্পনা থেকে কিছুটা ভাবনা দত্তক নিতে পারতেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।’ অমিত মিত্র বলেন, ‘আমাদের রাজ্যে কৃষির বৃদ্ধি নয় গুণ বেড়েছে। সামাজিক ক্ষেত্রে আয় সাড়ে চার গুণ বেড়েছে। এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পে রাজ্যের আয় সর্বাধিক।’ এমনকি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ১৬০-মিনিটের বাজেট বক্তৃতাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, ‘খালি কথা কাজের কাজ কিছু করা হয়নি। প্রায় ৩ ঘণ্টার বাজেট বক্তৃতা কিন্তু সারাংশ শূন্য।’ সূত্র: নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।