Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সাপ্তাহিক নিউজউইকে’র এক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। শুক্রবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই গত বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত ২৯টির বেশি দেশে ৯৩টি ভিন্ন ভিন্ন সামরিক মহড়া চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এতে দাবি করা হয়, স্থলযুদ্ধ থেকে সাইবার যুদ্ধ পর্যন্ত বিভিন্ন সামরিক কৌশলের এ অনুশীলনের লক্ষ্য ইরান বা মধ্যপ্রাচ্যের অন্য কোনো দেশ নয়। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে এ মহড়ার অনুশীলন করা হয়েছে। ২০১৪ সালের মার্চে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করে নেয়ার পর থেকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাভাবিক নয়। যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে উভয় দেশই তাদের সামরিক তৎপরতা বিপুল পরিমাণে বাড়িয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।

গত বছরের অক্টোবরে ন্যাটোর পার্লামেন্টারি কমিটির এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে, ইউরোপীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতির ক্রমাবনতির পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট (ন্যাটো) নাটকীয়ভাবে বাড়িয়েছে তাদের সামরিক তৎপরতা। এর প্রতিক্রিয়ায় থেমে নেই রাশিয়াও।
রুশ হুমকি মোকাবেলায় পূর্ব ইউরোপে যথেষ্ট পরিমাণে ন্যাটোর স্থলসেনা না থাকায় প্রতিবেদনে কমিটি তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করে। তবে সামরিক দক্ষতা ও সরঞ্জামের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা রাশিয়াকে অতিক্রম করেছে বলে প্রকাশ করা হয়।

এদিকে অক্টোবরেই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী জানায়, ২০২০ সালে ইউরোপে ন্যাটোর পরিচালনায় এক সামরিক মহড়ার আয়োজন করা হবে। ইউএস ইউরোপিয়ান কমান্ড (ইউরোকম) জানায়, ৩৭ হাজার সেনার অংশগ্রহণে ২০২০ সালের এপ্রিল ও মে মাসে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।

ইউরোকম জানায়, ‘শীতল যুদ্ধে’র সময়ে ন্যাটোর ‘রিটার্ন অব ফোর্সেস টু জার্মানি’ (রিফোরজার) সামরিক মহড়ার আদলেই এ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত শীতল যুদ্ধকালীন সময়ে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর পূর্ব ইউরোপে অনুষ্ঠিত বিশেষ মহড়া রিফোরজার হিসেবে পরিচিত। ১৯৮৮ সালে বিশেষ এ মহড়ায় সর্বোচ্চ এক লাখ ২৫ হাজার সেনা অংশ নেয়। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়ার পর এ ধরনের মহড়ার প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। ১৯৯৩ সালে শেষবারের মতো রিফোরজার মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

‘রিফোরজার’ মহড়ার আদলে এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘দ্যা ডিফেন্ডার ইউরোপ-২০’ নামের এ মহড়াটি গত ২৫ বছরে মার্কিন বাহিনীর বৃহত্তম সামরিক মহড়া বলে জানানো হয়। ইউরোকম তাদের বিবৃতিতে জানায়, জার্মানি ও পোল্যান্ডসহ মোট ১০টি ইউরোপীয় দেশে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ মহড়ায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর এক ডিভিশন পদাথিক সেনা, তিন ব্রিগেড ট্যাংক ও অন্য বাহিনীর সেনারা অংশ নেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়াও প‚র্ব ইউরোপে তাদের সামরিক উপস্থিতি ও তৎপরতা বাড়িয়েছে।
রুশ বার্তা সংস্থা তাস’এ প্রকাশিত গতবছরের জুনে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিগত তিন বছরে রাশিয়া তাদের সামরিক সামর্থ্য দশ গুণ বাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে এমন উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্বেগ জানিয়েছেন মার্কিন বুদ্ধিজীবীরা। মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও দার্শনিক নোয়াম চমস্কি ২০১৬ সালে এক সাক্ষাৎকারে সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট ও রাশিয়ার মধ্যে কোনো যুদ্ধ হলেই তা পরমাণু যুদ্ধে রূপ নেবে। এর মাধ্যমে মানবজাতির বিলুপ্তি ঘটতে পারে।



 

Show all comments
  • Abdur Rashid Rashid ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৩ এএম says : 0
    এরা অস্ত্র বেঁচার মার্কেটিং করছে।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Abdullha Al Mamun ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৪ এএম says : 3
    রাশিয়াকে একটা দাবানি দেয়া উচিত
    Total Reply(0) Reply
  • Khan Ishtiaq Ahmed ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৪ এএম says : 0
    এবার যদি বিশ্ব যুদ্ধ হয় তাহলে আমার মনে হয় পৃথিবীর আয়ুষ্কাল কিছুটা কমে যাবে
    Total Reply(0) Reply
  • BD G Sajib ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৪ এএম says : 1
    জন্মের পর প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ দেখিনাই,আর দিত্বিয় বিশ্ব যুদ্ধও দেখি নাই।তবে এইবার হয়তো আল্লাহ মনের আশাটা পূরন করবে,তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ হয়তো আল্লাহ এইবার দেখাইবো।
    Total Reply(0) Reply
  • Ahmed Irfan Samad ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৫ এএম says : 0
    আমাদের কোন চিন্তা নেই। রাশিয়া, চীন, ইরান, সিরীয়া সংমিলিত ভাবে আমেরিকা ও তাদের মিত্রদের সাথে লড়বে। আল্লাহ আমাদের সংগে আছে। বিজয় আমাদেরই জন্য!
    Total Reply(0) Reply
  • Imam Foisal Mohammad Mohshin ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৫ এএম says : 0
    সারা বিশ্বে যত ধ্বংসযজ্ঞ, জংগি হামলা হচ্ছে, এর বেশির ভাগ ই ইউ.এস.এ এর কারনে হচ্ছে।এদের কে থামানোর জন্য রাশিয়া কে দরকার। এতে বিশ্বব্যাপী ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Rashadulha Islam ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৬ এএম says : 0
    হে আল্লাহ আমেরিকা কে ধংস করুণ।
    Total Reply(0) Reply
  • sharafat hossain ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:১৩ এএম says : 0
    US will be Destroyed Not Russia, Not Human !!!
    Total Reply(0) Reply
  • Shanto ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৮:৪৭ পিএম says : 0
    Ora Upore Hot News dekhai, Ar Arale Ekjon Arekjon er Nitombo Chaprai, Ar Muslimder Chushe Khai...
    Total Reply(0) Reply
  • smkhisqu ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:৪৩ এএম says : 0
    সৌদরাই এক নাম্বার বোবা শয়তান। এরা ইহুদীর দালাল। যেদিন জাজিরাতুল আরাব পূর্নতা পাবে অর্থাৎ সৌদ ধ্বংস হয়ে আরব প্রতিষ্ঠিত হবে তখনই পৃথিবী শান্ত হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Nazim ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৮:০৫ পিএম says : 0
    Amirica nipat jak
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ