রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
লক্ষীপুরের কমলনগর উপজেলায় প্রায় ২ লক্ষাধিক লোকের বসবাস। নদী ভাঙন কবলিত এসব মানুষের সরকারি স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র অবলম্বন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ নাজমুল হাসান। তিনি ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থাকার কথা থাকলেও যোগদানের পর থেকে তার দেখা মেলে কালে-ভদ্রে। তার না আসার কারণে মুখথুবড়ে পড়েছে এ উপজেলার স্বাস্থ্য সেবা।
ডা. নাজমুল হাসনের অনিয়মিত হওয়ায় অন্যান্য চিকিৎসকরাও দায়িত্ব পালনে অবহেলা করছেন প্রতিনিয়ত। তিনি কখন আসেন কখন যান হাসপাতালের কেউ জানেন না। তিনিও লক্ষীপুরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখেন বলে জানা যায়।
সরজমিনে দেখা যায়, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হাসানের কক্ষ সব সময় তালাবদ্ধ। অন্যান্য স্টাফদের কাছে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা এ ব্যাপারে বিছু বলতে রাজি হননি। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ডা. নাজমুল হাসান জেলার রায়পুরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়মিত রোগী দেখেন। যার কারণে তিনি এ উপজেলা আসেন না। জরুরি কোনো প্রয়োজনে মাঝে মধ্যে আসেন। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিটিংয়ে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অনেক সময় প্রতিনিধি দিয়ে তা চালিয়ে নেন তিনি। তার এসব কর্মকান্ড নিয়ে উপজেলার আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে অনেক বার কথা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবার মতো চিকিৎসা সরঞ্জামাদিরও বেহাল দশা। টেকনিশিয়ানের অভাবে এক্সরে মেশিনটি দীর্ঘদিন ধরে বিকল হয়ে আছে। এছাড়া নেই রক্ত ও প্রসাব পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা। ফলে নিরুপায় হয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকের দিকে ঝুঁকছেন অনেকে। আবার সহায় সম্বলহীন মানুষগুলো চিকিৎসার অভাবে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।
চরলরেন্স ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আহসান উল্যাহ হিরন বলেন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ নাজমুল হাসান নিয়মিত না আসায় যে যার মতো করে কাজ করছে এবং একমাত্র ওনার কারণেই এলাকার মানুষ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে ওনাদের মতো কিছু অসাধু কর্মকর্তার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলেও তিনি বলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক জানান, নাজমুল হাসান স্যার অনিয়মিত হওয়ার বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখার কথা। ওনারা যদি দেখেও না দেখার ভান করেন। তাহলে আমাদের আর কি করার আছে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ নাজমুল হাসান বলেন, বিভিন্ন সময়ে জেলাসহ অনেক জায়গায় আমাকে মিটিংয়ে থাকতে হয়। তার মনে এ নয় যে, আমি থাকি না। আবাসিক কোনো সুবিধা থাকায় আমি রাতে অন্য জায়গায় লিভ করতে হয়।
এ বিষয়ে লক্ষীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল গাফফার জানান, এখন আমাদের বায়োমেট্টিক হাজিরা চলছে। অনিয়মতি হওয়ার সুযোগ নেই। অন্য উপজেলা প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখার বিষয়ে তিনি বলেন, নাজমুল হাসান তার কর্মস্থলেই থাকতে হবে। অন্য উপজেলা থাকার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।