ইনকিলাব ডেস্করায় কার্যকর হওয়ার দিনে আটকে গেল দিল্লির মেডিকেল শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ ও নির্যাতনের পর ঘটনায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত চার আসামির ফাঁসি। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টায় তাদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার কথা ছিলো। রাষ্ট্রপতির কাছে এক আসামির প্রাণভিক্ষা চাওয়ায় আপাতত তাদের ফাঁসি কার্যকর হচ্ছে না।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃত্যুদন্ড কার্যকরের আগের দিন শুক্রবার প্রাণভিক্ষা চাওয়ার ফলে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের দিনক্ষণ বাতিল করা হয়েছে। দিল্লির আদালত শুক্রবার এ আদেশ দিয়েছেন। এখন আদালতের পরবর্তী নির্দেশ ছাড়া কোনও আসামির মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা যাবে না।
নির্ভয়া কান্ডের এক আসামির আইনজীবী এপি সিং বলেছেন, ‘মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকরের দিনক্ষণ বাতিল করা হয়েছে এবং কোনও নতুন তারিখ এখনও দেয়া হয়নি।’
এ মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত চারজন হলেন- মুকেশ সিং, বিনয় শর্মা, অক্ষয় কুমার সিং ও পবন গুপ্ত। তাদের মধ্যে পবন গুপ্তা দাবি করেছেন, ২০১২ সালে ওই অপরাধ করার সময় সে নাবালক ছিলেন। তবে সর্বশেষ অভিযুক্ত বিনয় শর্মা প্রাণভিক্ষা আর্জির কারণেই শুক্রবার ফাঁসির হাত থেকে আপাতত বেঁচে গেছেন অভিযুক্তরা।
এদিকে রাষ্ট্রপতি যদি প্রাণভিক্ষার আবেদন তাৎক্ষণিক খারিজ করেও দেন, তবুও আগামী ১৪ দিনের আগে মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকর করা যাবে না। কারণ ভারতের আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কাছে করা ক্ষমার আবেদন খারিজ থেকে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের সময়ের মধ্যে অন্তত দুই সপ্তাহ ব্যবধান থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বরের রাতে গণধর্ষণের পরে চলন্ত বাস থেকে দিল্লির রাস্তায় ছুড়ে ফেলা হয়েছিল নির্ভয়াকে। এতে গুরুতর আহত হওয়া নির্ভয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। তাদের এক জন মারা যাওয়ায় তাকে মামলার বাইরে রাখা হয় এবং আরেকজন ওই সময় অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। ২০১৭ সালের ৫ মে বাকি চার আসামিকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয় আদালত। রায়ের পর চার আসামিই তা রিভিউয়ের আবেদন করে। ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়ে ফাঁসির রায় বহাল রাখে আদালত।