চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
প্রশ্ন : ইদানিং অনেকেই চল্লিশা/কুলখানী করতে নিষেধ করেন, বলেন অবৈধ। তাহলে আমরা মৃত ব্যক্তিদের রূহে সওয়াব পৌঁছাবো কী করে?
আয়েশা বেগম, বাড্ডা, ঢাকা।
উত্তর : মৃত ব্যক্তির রূহে সওয়াব পৌঁছানোর সবচেয়ে উত্তম উপায় তার জন্য দোয়া করা। সর্বোত্তম দোয়া, হে আল্লাহ তুমি আমাকে, আমার বাবা-মা ও সকল ঈমানদার নারী পুরুষকে ক্ষমা করে দাও। কেবল পিতা-মাতার জন্য বলা হয়, হে আল্লাহ আমার বাবা-মাকে রহম করো, যেমন তারা আমাকে ছোটবেলা লালন করেছিলেন। এছাড়া যতরকম নফল ইবাদত আছে যেমন, কোরআন পড়া, নফল নামাজ-রোজা, দোয়া-দুরুদ, দান-খয়রাত ইত্যাদি করে তাদের রূহে সওয়াব পৌঁছানোর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা যায়। এজন্য তিনদিন, চল্লিশদিন বা বছর শেষে মৃত্যুর দিন ধার্য করে আমল করা জরুরী নয়। বরং এভাবে না করাই উত্তম। সওয়াব পৌঁছানোর এ প্রক্রিয়া বছরের প্রতিটি দিন নিজের অভ্যাসে পরিণত করে নেওয়ায় সন্তান ও আত্মীয় স্বজনের কর্তব্য। যারা নিষেধ করেন তারা আনুষ্ঠানিকতাকে নিষেধ করেন, সওয়াব পৌঁছানোকে নয়। ইসলামে বিষয়টি এমনই।
প্রশ্ন : মনের অবসাদ/হতাশা/ভয়-ভীতি দূর করার জন্য কোন দোয়াটি পড়তে পারি। কোরআন শরীফে বিশেষ কোনো আয়াত এমন আছে কি?
ফারজানা আক্তার, টিকাটুলি, ঢাকা।
উত্তর : আল্লাহর নাম ও তার কালাম যেটিই পড়–ন, মনের ওপর প্রভাব পড়বেই। হতাশা, ভয়-ভীতি, অবসাদ দূর হবেই। তবে মৌখিক পাঠের চেয়ে নিজে অন্তরে আল্লাহর ওপর আস্থা, বিশ্বাস, নির্ভরতা ও সর্বাত্মক আত্মসমর্পণ সৃষ্টি করতে হবে। মনের এই ভাব অনুশীলন করতে হবে। এর পাশাপাশি মুখের দোয়া ও জিকির চালিয়ে গেলে বর্ণিত কষ্ট দূর হবে, ইনশা আল্লাহ। দোয়া হিসাবে ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ ও ‘হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল, নি’মাল মাওলা ওয়া নি’মান নাসির’ পড়া উত্তম। পেরেশানীর সময় আল্লাহর রাসূল সা. নিজেও এ দোয়া দু’টি পড়তেন। আরও বিস্তারিত জানার জন্য নারীরা পুরুষ অভিভাবকের মাধ্যমে আর পুরুষরা নিজে কোনো কামেল শায়েখের পরামর্শ নিতে পারেন।
-আল্লামা মুফতী উবায়দুর রহমান খান নদভী
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।