Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতি নজর দেয়ার আহবান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাকিস্তান-বিরোধী ‘আগ্রাসী বক্তব্য’ প্রত্যাখ্যান করে দিয়ে বলেছে যে, তার সামপ্রতিক বক্তব্য “পাকিস্তানের ব্যাপারে ভারতের উপশম-অযোগ্য আসক্তির বহিঃপ্রকাশ মাত্র”। মোদির বক্তব্যের জবাবে এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছে যাতে তারা “ভারতীয় নেতৃত্বের অব্যাহত আগ্রাসী কথাবার্তা এবং আগ্রাসী পদক্ষেপের বিষয়গুলোর দিকে নজর দেয়, যেটা আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করছে”। মঙ্গলবার দিল্লীতে মোদি সামরিক সেনাদের উদ্দেশে দেয়া বক্তৃতায় বলেন যে, ভারতীয় বাহিনীর এখন এই সক্ষমতা রয়েছে যে, ১০ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে তারা পাকিস্তানকে ‘মাটি কামড়াতে বাধ্য করতে’ পারে। তার এই বক্তব্যের জবাবেই বিবৃতি দিলো পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর। মোদি ঘোষণা দেন যে, “পাকিস্তানকে মাটি কামড়াতে বাধ্য করার জন্য আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সাত থেকে ১০ দিনের বেশি সময় নিবে না”। নয়াদিল্লীর ওই অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের মেরুন কালারের বেসবল ক্যাপ পরে মোদি বলেন, ভারতের যে নতুন শক্তি জন্মেছে, সেটা সম্ভব হয়েছে ‘তারুণ্যদীপ্ত চিন্তাভাবনার’ কারণে। তিনি বলেন, গত বছর ও ২০১৬ সালে আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরে ভারত যে হামলা চালিয়েছিল, সেখান থেকে এই শক্তির প্রমাণ পাওয়া যাবে। ২০১৬ সালে ভারতীয় সেনারা আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে গুলি চালালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দুজন সেনা শহীদ হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী সে সময় দাবি করেছিল যে, তারা পাকিস্তানের ভেতরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক পরিচালনা করেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাদের দাবি নাকচ করে দেয় এবং এই ভাষ্যকে ‘ভারতীয় সেনাবাহিনীর মিথ্যা ছড়ানোর প্রচেষ্টার অংশ’ হিসেবে অভিহিত করে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে গত বছরের সঙ্ঘাতের বিষয়টিও এসেছে। ওই লড়াইয়ে পাকিস্তান ভারতীয় একটি জঙ্গি বিমানকে গুলি করে ভ‚পাতিত করে এবং বিমানের পাইলটকে আটক করে। পাকিস্তানের পররাষ্ট দফতর তাদের বিবৃতিতে বলেছে: “[মোদির বক্তব্যের মাধ্যমে] বিজেপি সরকার আর তাদের নেতৃত্বের বেপরোয়া চেষ্টাটা উঠে এসেছে, যেটার মাধ্যমে তারা দেশের ভেতরের বৈষম্য, কাশ্মীর-বিরোধী ও সংখ্যালঘু-বিরোধী নীতি, এবং আন্তর্জাতিক সমালোচনা থেকে মনোযোগ অন্যদিকে সরাতে চায়”। “ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর হুমকি এবং উসকানিম‚লক বিবৃতি থেকে আবারও বোঝা গেছে যে, বিজেপির নেতৃত্বের মধ্যে কি ধরণের চরমপন্থী মানসিকতা বিরাজ করছে এবং সেটা নিঃসন্দেহে ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেও প্রতিফলিত হয়েছে”। এসএএম।



 

Show all comments
  • Mohammed Kowaj Ali khan ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৪:৫৪ এএম says : 0
    মুদির বাহীনিকে ধংস করিতে আমার তেমন সময় ব্যয় হইবে না। ইনশাআল্লাহ। মুদিরে পাইলে চর এবং তাপ্পর দিয়া আমি তাকে ঘায়েল করিতাম। ইনশাআল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ