মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের প্রচন্ডতম প্রতাপশালী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গর্ব করে বলেছেন, আমরা চাইলে পাকিস্তানকে ৭-১০ দিনেই ধুলোয় মিশিয়ে দিতে পারি। প্রতিবেশী দেশটি আমাদের সঙ্গে তিনটি যুদ্ধ হেরেছে। কিন্তু দশকের পর দশক ধরে ‘ছায়াযুদ্ধ’ চালিয়ে এসেছে তারা। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের। আগে সেনাবাহিনীকে অভিযানের অনুমতি দেয়া হতো না। আমাদের সময় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, বিমান হামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে জাতীয় সমর শিক্ষার্থী বাহিনীর (এনসিসি) এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় তিনি ওই মন্তব্য করেন।
মোদির দাবি, স্বাধীনতার পর থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে সমস্যা রয়েছে। কয়েকটি পরিবার ও রাজনৈতিক দল উপত্যকার ইস্যুগুলোকে জিইয়ে রেখেছে। তার ফল হিসেবে সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বছরের পর বছর ধরে হাজার হাজার নিরাপরাধ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বাসিন্দাদের কাশ্মীর ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। বর্তমান সরকার কয়েক দশক ধরে চলে আসা এই সমস্যাগুলোর সমাধানের চেষ্টা করতে চায়।
কাশ্মীর ইস্যুতে তিনি আরও বলেন, সাবেক সরকারগুলো ওই সমস্যাকে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হিসেবে দেখেছিল।
ভারতীয় সেনাবাহিনী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চাইলেও তাদের অনুমতি দেয়া হয়নি। সাবেক সরকারগুলোর নিষ্ক্রিয়তার কারণেই এ সমস্যা তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ-আন্দোলন চললেও প্রধানমন্ত্রীর দাবি, জম্মু-কাশ্মীরসহ দেশের অন্য অংশে শান্তি বজায় রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্য হিসেবে- তিন তালাক বাতিল, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন তিনি।
গত ৫ আগস্ট ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন ৩৭০ ধারা রদ করে ভারত। এ নিয়ে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ভারতের উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ভারতের এই বিতর্কিত পদক্ষেপের বিরুদ্ধে গোড়া থেকেই সরব রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
তিনি এ নিয়ে জাতিসংঘে ভারতের বিরুদ্ধে যুগান্তকারী বক্তব্য রেখেছেন। এ নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত গড়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। যদিও এতে তিনি তেমন সফল হননি। এই প্রেক্ষাপটেই পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে মোদি এত বড় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।