মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গত দশ বছরের ভেতর ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের মাটিতে সবচেয়ে বেশি বোম ফেলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের এয়ার ফোর্সেস সেন্ট্রাল কমান্ড সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গেল বছর ট্রাম্পের দেশ আফগানিস্তানে ৭ হাজার ৪২৩টি বোমা নিক্ষেপ করে। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৩৬২। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর আফগানিস্তানে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। বারাক ওবামার আমলে ২০০৯ সালে বোম পড়েছিল ৪ হাজার ১৪৭টি।
কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, মূলত ২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বোমা হামলার সংখ্যা বেড়ে গেছে। ২০০৯ সালে বারাক ওবামা ক্ষমতায় থাকাকালীন আফগানিস্তানে বোমা পড়েছিল মোট চার হাজার ১৪৭টি। আগে বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি এড়াতে হামলার লক্ষ্যবস্তু সশস্ত্র বাহিনীর ‘ধরা-ছোঁয়ার মধ্যে’ থাকার নিয়ম ছিল। ২০১৬ সালে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরপরই এই আদেশ তুলে নেয় ওয়াশিংটন।
জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো মার্কিন-আফগান বাহিনীর বিমান হামলায় বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় বহুবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
গত রোববার আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় বালখ প্রদেশে সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় তিন শিশুসহ অন্তত সাত বেসামরিক প্রাণ হারায়। এর পরপরই ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়রা।
এর আগে, চলতি মাসের শুরুতেই দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত প্রদেশে এক তালেবান নেতাকে লক্ষ্য করে চালানো মার্কিন ড্রোন হামলায় ৬০ জনেরও বেশি বেসামরিক হতাহত হয়।
গত অক্টোবরে জাতিসংঘ জানিয়েছিল, তাদের কাছে তথাকথিত তালেবান মাদক পরীক্ষাগারে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় শিশুসহ অন্তত ৩০ বেসামরিক নিহত হওয়ার বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে। যদিও সঙ্গে সঙ্গেই ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। ওই অভিযানে আফগানিস্তানের ফারাহ ও নিমরুজ প্রদেশের অন্তত ৬০টি জায়গায় হামলা চালানো হয়।
জাতিংঘের হিসাব অনুযায়ী, আফগানিস্তানে ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে যুক্তরাষ্ট্রসহ সরকারি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৭১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যা আগের বছরের তুলনায় ৩১ শতাংশ বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানদের শান্তি আলোচনা সত্তে¡ও দেশটিতে হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তালেবানদের দাবি, আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র শর্ত দিয়েছে, সেনা প্রত্যাহারের আগে সব গ্রæপকেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।