মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে যে প্রস্তাবটি আসতে চলেছে তাতে কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকারের। বিষয়টি নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি নয়াদিল্লি। তবে ইতিমধ্যেই বিশ্বের কাছে এই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করা শুরু করেছে ভারত।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য শাফাক মোহাম্মদ জন্মসূত্রে আজাদ কাশ্মীরের নাগরিক। তিনিই এই প্রস্তাবের অন্যতম উদ্দ্যোক্তা। গোটা বিষয়টির পিছনে ইসলামাবাদের কোনও পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখছে দিল্লি।
সূত্রের খবর, এই আইনটিকে ‘বৈষম্যমূলক’ এবং ‘বিভেদকামী’ হিসেবে চিহ্নিত করে একে বদল করার আহ্বান জানানো হয়েছে ওই প্রস্তাবে। ভারতে ‘ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদ’ প্রকৃতপক্ষে ‘ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা’ তৈরি করছে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে ওই প্রস্তাবে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট দশটি ভাগে ভাগ করে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যেরা তাদের পর্যবেক্ষণ এবং মতামত জানিয়েছেন প্রস্তাবে। পার্লামেন্টের ছ’টি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে আনা এই প্রস্তাবটিতে বলা হচ্ছে, ‘ভারত সরকারকে এই মর্মে সতর্ক করা হচ্ছে যে সেখানকার ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদ ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা এবং মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যের জন্ম দিচ্ছে। এই নয়া নাগরিকত্ব আইন ভারতের আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতাও লঙ্ঘন করছে। এটি শুধুমাত্র বৈষম্যমূলকই নয়, বিপজ্জনকভাবে বিভেদকামীও বটে। সরকারের উচিত অবিলম্বে দেশের নাগরিকদের আবেদনে সাড়া দেয়া, সমাজের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে কথা বলা।’
শুধু নতুন নাগরিকত্ব আইন-ই নয়, এনআরসি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ওই প্রস্তাবে। বলা হয়েছে, ‘এনআরসি নিয়ে যে প্রাসঙ্গিক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, ভারত সরকার তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করুক। ভারতে যে ভাবে নাগরিকত্ব নির্ণয় করা হয়, এনআরসি-র ফলে তাতে বিপজ্জনক পরিবর্তন আসতে চলেছে। এর ফলে বড় মাপের নৈরাজ্য তৈরি হবে।’ সরকারের বিরুদ্ধে বাগ্স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যদের আনা ওই প্রস্তাবে স্থানে স্থানে নেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার নিন্দা করা হয়েছে। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।