Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছাত্রনেতা শারজিল ইমাম বিহারে গ্রেফতার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২০, ১১:২৫ এএম

ভারতে ইনসাফের জন্য আওয়াজ তুলেছিলেন দিল্লির জওহেরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়- জেএনইউয়ের সাবেক ছাত্র শারজিল ইমাম। নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের বিরুদ্ধে আয়োজিত শাহিনবাগ প্রতিবাদ মঞ্চে অন্যতম উদ্যোক্তা তিনি। ব্যক্তিগত স্বার্থে নয়– দেশের মানুষের সর্বনাশের কথা ভেবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। ওই ডাকে সাড়া দিয়েছেন বহু মানুষ। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে শাহিনবাগের প্রতিবাদ মঞ্চ এখন ছড়িয়ে পড়েছে ভারতজুড়ে। এখন গোটা ভারত যেন শাহিনবাগ। স্বাধীনতার পর এমন প্রতিবাদ দেখেনি গোটা ভারত। এই প্রতিবাদে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মহিলারা। প্রতিবাদের উদ্যোক্তা শারজিল ইমামকে খুঁজছিল পুলিশ। মঙ্গলবার বিহারের জেহানাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয় শারজিলকে। তাকে নিয়ে আসা হবে দিল্লিতে। এরপর লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ চলবে বলে জানা গিয়েছে। শারজিলের প্রথম অপরাধ তিনি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন। দ্বিতীয় অপরাধ, তার ডাকে একত্রিত হয়েছে শাহিনবাগ। প্রতিবাদের নতুন ভাষা হয়ে উঠেছে ভারতজুড়ে। তার তৃতীয় অপরাধ কী– তা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় কারো।

শারজিল ইমামের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে একাধিক মামলা। যার মধ্যে রয়েছে দেশদ্রোহও। এ ছাড়াও বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে জেএনইউয়ের এই প্রাক্তনীর বিরুদ্ধে। আশ্চর্যের বিষয় হলো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর দিল্লিতে প্রচারে গিয়ে স্লোগান দেন– ‘দেশ কি গদ্দারোকো...’ উলটো দিক থেকে বিজেপি কর্মীরা বলে ওঠে ‘গুলি মারো শালো কো...’। কোনো পুলিশ অনুরাগ ঠাকুরকে গ্রেফতার করেনি। বিজেপি নেতা প্রবেশ বর্মা বলেন– শাহিনবাগের প্রতিবাদীরা ঘরে ঢুকে তাদের বোনেদের ধর্ষণ পর্যন্ত করতে পারেন। বিজেপি নেতাদের হাজার আপত্তিকর মন্তব্যের পরও পুলিশ তাদের কেশাগ্র পর্যন্ত ছুঁতে পারেনি।
সূত্র : পূবের কলম



 

Show all comments
  • Miah Adel ২৯ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০৩ পিএম says : 0
    He should be immediately released if India is to be called the world's largest democratic country.
    Total Reply(0) Reply
  • Md Azadul Islam ২৯ জানুয়ারি, ২০২০, ৩:৪০ পিএম says : 0
    ভারত নাকি বৃহত্তম গনতান্ত্রিকদেশ। গনতন্ত্র অধিকাংশ মানুষের মতামতের ফল, তই যদি হয় তবে কেন তা মানা হচ্ছে না। মোদি ইচ্ছা করলে এই বিষয়ে গণভোট দিতে পারে। তারা সংখ্যাগরিস্ট তাহলে ভয় কোথায়? বিজেপি নেতারা যে ধরনের মন্তব্য করেছেন তাকি সাম্প্রদায়িক নয়? ভারতে ভিন্ন মত থাকতে পারে । আচ্ছা মুসলিম দেশ গুলি যদি হিন্দুদের নির্যাতন করে তবে কেমন হয়? মনে রাখবেন নিজের জন্য যেটি খারাপ অবশ্যই সেটি অন্যের জন্যেেে ও খারাপ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ