Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৪০ দিন যুদ্ধের প্রস্তুতি ভারতের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

পাকিস্তান ও চীনের কথা মাথায় রেখে প‚র্ণাঙ্গ যুদ্ধের জন্য অস্ত্রের মজুদ গড়ে তুলছে ভারতের ১৩ লাখ সেনার সমন্বয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী। এখন ধীরে, তবে একই গতিতে এই কাজটি করা হচ্ছে। মজুদ করা হচ্ছে রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র থেকে শুরু করে উচ্চমানের ট্যাংক, আর্টিলারি শেল। এর উদ্দেশ্য একটি প‚র্ণাঙ্গ যুদ্ধ হলে যেন কমপক্ষে ১০ দিন স্বাচ্ছন্দ্যে যুদ্ধ চালিয়ে নেয়া যায়, তা নিশ্চিত করা। এ ছাড়া আস্তে আস্তে অস্ত্রের এই মজুদ এমনভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে, যাতে ৪০ দিন পর্যন্ত টিকে থাকা যায়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের স‚ত্রকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। ওই স‚ত্রগুলো বলেছেন, সেনাবাহিনীর বিভিন্ন রকম সামরিক অস্ত্রশস্ত্র ‘১০(আই) লেভেলে’ উন্নত করা হবে। এর অর্থ হলো, প‚র্ণাঙ্গ একটি যুদ্ধ হলে ২০২২-২০২৩ সালের মধ্যে ১০ দিনের জন্য পর্যাপ্ত অস্ত্রের মজুদ গড়ে তোলা। অবশ্যই এর অর্থ এই নয় যে, সেনাবাহিনী এখনই যুদ্ধের জন্য প্রস্তত নয়। একটি স‚ত্র বলেছেন, অস্ত্রের এই মজুদ গড়ে তোলা হচ্ছে পশ্চিমাঞ্চলীয় ফ্রন্টে। কিন্তু পাকিস্তান ও চীন উভয়ের বিষয় মনে রেখে অস্ত্রের এই মজুদ গড়ে তুলতে হবে। আগে গুরুত্বপ‚র্ণ অনেক ধরণের গোলাবারুদের ঘাটতি প‚রণ করা হচ্ছে অধিক পরিমাণে সরবরাহের মাধ্যমে। ২৪টি কন্ট্রাক্টের অধীনে এসব সরবরাহ পাইপলাইনে রয়েছে। এসব চুক্তি হয়েছে বিদেশী ১৯টি অস্ত্র তৈরিকারক কোম্পানির সঙ্গে। এর অর্থম‚ল্য ১২ হাজার ৮৯০ কোটি রুপি। একটি স‚ত্র বলেছেন, বড় কিছু কাজের পর পরবর্তী টার্গেট হবে ৪০(আই) লেভেলে পৌঁছা। তবে সব ধরনের গোলাবারুদের অতো বেশি পরিমাণ মজুদ গড়ে তোলার প্রয়োজন নেই। এমন বিপুল মজুদ অর্থনৈতিক ও যৌক্তিক কোন দিক দিয়েই উপযুক্ত নয়। বিদেশী প্রস্তুতকারকদের পাশাপাশি দেশের ভিতরে বেসরকারি অস্ত্র তৈরিকারকদের সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়ায় রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বিদেশীদের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে আটটি ভিন্ন রকমের ট্যাংক, আর্টিলারি ও পদাতিক বাহিনীর অস্ত্রশস্ত্রের চুক্তি করতে চায়। ২০২২-২৩ সাল থেকে এক দশকে এই কাজ বছরে ১৭০০ কোটি রুপির বিনিময়ে হবে। টাইমস অব ইন্ডিয়া।



 

Show all comments
  • Amzad Hossain Khan ২৮ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৮ এএম says : 0
    War is the only one solution!!!
    Total Reply(0) Reply
  • Wahid Ahmed ২৮ জানুয়ারি, ২০২০, ১:০২ এএম says : 0
    What is the cost of these equipment.with this money how many can be feed if we did not think about war? When we can see a person who fight for peace not war and we can spent these money for the benefit of the people of this world?
    Total Reply(0) Reply
  • Abdus Shahid Mahmood ২৮ জানুয়ারি, ২০২০, ১:০২ এএম says : 0
    বর্তমান বিশ্বে যুদ্ধ বাধলে তা শুধু সীমান্তে সীমাবদ্ধ থাকবে না। শুধু ভুটান আর সীকিম এর লাগোয়া থাকবে না। যুদ্ধ হবে সমুদ্রে, বানিজ্যে, সাইবার যুদ্ধ, কাশ্মিরে, ভারতের পশ্চিমে, উত্তরে, উত্তর-পূর্বে কোথায় নয়? পাকিস্তান বসে থেকে ললিপপ খাবে না । তাদের সেনারা ভারতের পশ্চিমে সীমান্তে ও উত্তর -পশ্চিম সীমান্তে কোশ্মিরে রনাঙ্গন খুলবে। তার মানে ভারতীয় সামরিক শক্তির একটা বড় অংশ সেদিকে ব্যস্ত থাকবে পাস্তিানকে সামলানোর জন্য। বাকী থাকলো চীনকে মোকাবিলা করা। এবিষয়ে নাইবা বললাম। শুধু বলবো ভারত এতোই যদি শক্তিধর হবে, তাহলে তার হাজার কিলোমিটার ভূমি যা ছিল ভারতেরই অরুনাচল প্রদেশের অন্তর্ভূক্ত, তা কেন 1962 সালের যুদ্ধের পর আয পর্যন্ত চীনের কাছ থেকে উদ্ধার করতে পারলোনা? আর এবার যদি যুদ্ধ হয় ভারতকে অনেক কিছুই হয়তো হারাতে হবে। আরেকটা কথা, নিশ্চিত থাকতে পারেন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানী, জাপান বা ইজরায়েল কেউ তখন কোন পক্ষকে অস্ত্র বা গোলাবারুদ দিয়ে সাহায্য করতে আসবে না। সবাই যার যার অর্থনীতি সামাল দিতে ব্যস্ত থাকবে। কারণ এই যুদ্ধের পরিণাম হিসেবে বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়ার আসংকা থাকবে প্রবল।
    Total Reply(1) Reply
    • ABU ABDULLAH ২৮ জানুয়ারি, ২০২০, ৬:২১ পিএম says : 4
      আর আমরা বাংলাদেশী রা কি বসে থেকে ললিপপ খাব ?
  • Reza Sabir ২৮ জানুয়ারি, ২০২০, ১:০৩ এএম says : 0
    Such a coward and multinational country like India will never survive more than 25-30 days in a war. whatever help they get that doesn't matter, remember it's a war not a natural disaster..... Bangladesh should be neutral if India and China go for war and we will neutral.. Allah bless Bangladesh and Bangladeshi..
    Total Reply(0) Reply
  • Hasan Ahmed ২৮ জানুয়ারি, ২০২০, ১:০৩ এএম says : 0
    বাস্তবতা বড় কঠিন। কোথায় চীন আর কোথায় ভারত! একটা কথা মনে রাখতে হবে-এই পারমাণবিক যুগে কেউ কারো সাহায্যে এগিয়ে আসবে না। যার যার যুদ্ধ তার তার করতে হবে। বাংলাদেশ কারো পক্ষ নিবে না-জনগণ নিতে দিবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Kamrazzaman Palash ২৮ জানুয়ারি, ২০২০, ১১:৫৯ এএম says : 0
    India is a ..... country......
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ