বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ব্রিটেনের দাতা সংস্থা অক্সফাম সম্প্রতি একটি অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছে, বিশ্বের প্রায় সাতশ কোটি মানুষের দ্বিগুণ পরিমাণ সম্পদ রয়েছে এক শতাংশ ধনীর হাতে।
সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনীতি ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে টাইম টু কেয়ার শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে অক্সফাম। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর স্পষ্ট যে, দিন যতই যাচ্ছে ততই ধনী-গরীবের মধ্যে বৈষম্য বাড়ছে। সেই বৈষম্য এতটাই প্রকট যে বিশ্বের এক শতাংশ শীর্ষ ধনীর সম্পদের পরিমাণ পুরো বিশ্বের ৬৯০ কোটি মানুষের দ্বিগুণ। এ থেকে বোঝা যায় যে, ধনী-গরিবের মধ্যে বৈষম্য পৌঁছে গেছে বিপজ্জনক মাত্রায়। এভাবে চলতে থাকলে বিশ্বজুড়ে আর কিছুদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত সামাজিক বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। সম্পদ-বিরোধী সংস্থা অক্সফাম তাদের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এমনই সতর্কতা জারি করেছে।
ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মাত্র ২১৫২ জন শীর্ষ ধনীর সম্পদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বিশ্বের ৪৬০ কোটি মানুষের মোট সম্পদের চেয়েও বেশি। গত এক দশকে বিশ্বে শীর্ষ ধনীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। যারা বিশ্বের ৬০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর চেয়েও বেশি সম্পদশালী।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নারীদের চেয়ে পুরুষরা ৫০ শতাংশ বেশি সম্পদের মালিক। বিশ্বের ২২ জন শীর্ষ ধনীর কাছে যে সম্পদ আছে তা আফ্রিকার ৩২ কোটি ৬০ লাখ নারীর সম্পদের চেয়ে বেশি। বিদ্যমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় নারীদের শ্রমের সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছে না।
এখানেই শেষ নয় মাত্র দুই হাজার ১শ ৫২ জন শীর্ষ ধনীর সম্পদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বিশ্বের ৪৬০ কোটি মানুষের মোট সম্পদের চেয়েও বেশি। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে গেলো এক দশকে বিশ্বে শীর্ষ ধনীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। যারা বিশ্বের ৬০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর চেয়েও বেশি সম্পদশালী।
অক্সফামের মতে বিশ্বের নারীরা প্রতিদিন এক হাজার ২৫০ কোটি ঘণ্টা বিনামূল্যে শ্রম দেয়। এসব শ্রমের যে অর্থনৈতিক মূল্য যুক্ত হচ্ছে তা প্রযুক্তি শিল্পের চেয়ে তিনগুণ বেশি। নারীদের বিনামূল্যে করা কাজ প্রতিবছর অন্তত ১০ লাখ ৮০ হাজার কোটি ডলার মূল্য যোগ করছে বিশ্ব অর্থনীতিতে।
এমন অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় হিসেবে ন্যায্য সমতার ভিত্তিতে অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছে অক্সফাম। বিশেষ করে ধনীদের ওপর কর বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আর আদায়কৃত অর্থ, বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্যসেবা ও ভালোমানের স্কুল প্রতিষ্ঠার কাজে ব্যয় করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।