নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টি-টোয়েন্টি সংস্করণে উদ্বোধনী জুটি নিয়ে বাংলাদেশের মাথাব্যথার শেষ নেই। ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে ইনিংস শুরুর জন্য নির্দিষ্ট কোনো দুই ব্যাটসম্যানের ওপর নির্ভর করতে পারছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। কোনো ব্যাটসম্যানই থিতু হতে পারছেন না ওপেনিং পজিশনে। গত বছরের বিশ্বকাপের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত খেলা ২৬ টি-টোয়েন্টিতে ১৪টি ভিন্ন উদ্বোধনী জুটি খেলিয়েছে বাংলাদেশ। এই পজিশনে খেলেছেন ১১ জন ভিন্ন ব্যাটসম্যান! তবু মেলেনি কোনো সমাধান। এই ২৬ ম্যাচে উদ্বোধনী জুটিতে এসেছে সর্বোচ্চ ৪০ রান, ত্রিশ ছাড়িয়েছে মাত্র তিন ম্যাচে।
মাঝে চার ম্যাচে দুই মেকশিফট ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমানকে দিয়েও চেষ্টা করা হয়েছে। খুব একটা সুফল মেলেনি। তাই ত্রিদেশীয় সিরিজের দুই ম্যাচে প্রথাগত টপ অর্ডার লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকারের দিকেই ঝুঁকেছে দল। নিউজিল্যান্ডে চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজের তিন ম্যাচে দেখা গেছে ভিন্ন তিন উদ্বোধনী জুটি। এখনও নিশ্চিত নয় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের হয়ে ইনিংস সূচনা করবেন কোন দুজন। তবে আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচেই এ বিষয়ে ধারণা পাওয়া যাবে বলে আভাস দিলেন পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড।
গতকাল স্বাগতিকদের বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচে ইনিংস সূচনা করেন শান্ত ও লিটন। এই জুটি ভাঙে চতুর্থ ওভারে, ২৪ রানের মাথায়। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে উদ্বোধনী জুটি নিয়ে শেষবারের মতো পরীক্ষা-নিরীক্ষার আভাস দিয়ে রেখেছেন ডোনাল্ড। এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে নিজের ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার উদাহরণ টানেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই কিংবদন্তি, ‘আমি শুধু ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ খেলেছি। নতুন বলে ওপেনিংয়ের ক্ষেত্রে অনেক ম্যাচআপ ব্যবহার করেছি আমরা। ওপরের সারির চার ব্যাটসম্যানকে অনেক অদলবদল (মিক্সিং) করেছি। এখন শ্রীরাম অনেক কম্বিনেশন দেখছে। যেখানে তাকে নিখুঁত হতে হবে। বিশেষ করে আগামীকাল (আজ) শেষবারের মতো দেখবে তার কী করা উচিত এই কাজের জন্য সঠিক লোক খুঁজে বের করার জন্য।’
তবে কাজটি যে সহজ নয় সেটিও ভালোভাবেই জানেন এই পেস কিংবদন্তি, ‘এটি কখনোই সহজ কাজ নয়। কোচ হিসেবে ওপরে বসে আপনি কখনও নিশ্চিতভাবে বলতে পারবেন না কোন কম্বিনেশনটা সঠিক। তবে আমি নিশ্চিত, এরই মধ্যে সে সঠিক জুটি খুঁজে পেয়েছে। অনেকেই বলে কতদিন এভাবে ‘ট্রায়াল এন্ড এরর’ চলবে? কিন্তু কোচ হিসেবে আপনাকে এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে সমাধান বের করার জন্য। হেড কোচ হিসেবে তার সেই জায়গায় পৌঁছে যাওয়ার কথা।’ এরকম সংশয়ের দোলাচলে সব দলকেই পড়তে হয় জানিয়ে ডোনাল্ড আরও বলেন, ‘আমি মোটামুটি নিশ্চিত সে (শ্রীরাম) প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। তবে আমি এ ব্যাপারে নাক গলাতে চাই না। আমি বোলারদের দেখভালই করি বোলিং কোচ হিসেবে। আমি জানি, এটি সহজ কাজ নয়। কারণ আপনি নিখুঁত হতে চাইবেন, আত্মবিশ্বাসী হতে চাইবেন। এ কারণে বিশ্বকাপের দল বেছে নেওয়া সহজ নয়। সেটি বিশ্বের সব দলের জন্যই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।