মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরেক সমালোচনা তৈরি হয়েছে একটি ছবি নিয়ে। মোদির জনসভায় বিপুল পরিমাণ মানুষের উপস্থিতি বোঝাতে ব্যবহার করা হয়েছে সরিষা দানার ছবি। এ নিয়ে সমালোচনায় মেতেছে ভারতের সর্বস্তরের মানুষ।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে মাইকে বক্তৃতা দিচ্ছেন। অনেকটা নীচে বিপুল মানুষের ভিড়। এ দিয়ে মূলত মোদির জনপ্রিয়তা দেখাতে চেয়েছিল তারা।
দেশটির দৈনিক আজকালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ‘হায় রে আইটি সেল! কথায় বলে না, শিল্প যখন তার সংখ্যার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, ধীরে ধীরে শিল্পের মান নিচে নেমে যেতে থাকে। তবে আইটি সেলকে দোষ দিয়ে লাভ নেই, প্রজার কাছে রাজার আদেশ মানা ছাড়া আর উপায়ই বা কী আছে। রাজার ক্রমাগত আদেশে প্রজার একেবারে নাজেহাল অবস্থা। মোটা টাকার মাইনে ঢুকছে সময়মতো। এদিকে প্রোডাক্ট ডেলিভার না করতে পারলে তো চাকরি আর থাকবে না। কিন্তু নিম্নমানের প্রোডাক্ট দেখে এবার আর হাসি চাপতে পারল না নেটিজেনরা। জেএনইউয়ের ছাত্রী ঐশী ঘোষের মিরর ইমেজ থেকে শুরু করে আরও কত কী! বিজেপির আইটি সেলের কাজের মান খারাপ ছিল না। কয়েক মুহূর্তের জন্যে হলেও ভিরমি খেয়েছে দেশের লোক। কিন্তু মুশকিল হল নতুন ছবিটি নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে মাইকে বক্তৃতা দিচ্ছেন। অনেকটা নীচে কোটি কোটি মানুষের ভিড়। না, না, ছবিটি এটা নয়। এটা আইটি সেল বোঝাতে চেয়েছিল। কিন্তু ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, আকাশ সমান উঁচু একটি মঞ্চে দাড়িয়ে নরেন্দ্র মোদি মাইকে বক্তৃতা দিচ্ছেন। অনেকটা নীচে কোটি কোটি সর্ষের দানা। দানাগুলির মধ্যিখানে কাঠিগুলোও রয়ে গিয়েছে। সরাতে বোধহয় ভুলে গিয়েছিলেন আইটি সেলের কর্মীরা। কাজের চাপ কী কম নাকি? ছোটখাটো ভুল তো হয়েই যায়। কিন্তু ওপরতলার মানুষ সেসব আর বোঝে কই!’
এরপরই দ্রুত ছবিটি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। শুরু হয় সমালোচনা। বিরোধীরা বলছেন, মোদির জনপ্রিয়তা দেখাতে যতই কারসাজির আশ্রয় নেয়া হোক না কেন তা সাধারণ জনগণের চোখ এড়াবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।