২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
শীতের টনটনে ঠান্ডার প্রভাব শুধু শরীরের ওপর বা পায়ের ওপরই পড়ে না, ঠোঁটের ওপরও পড়ে । মূলত এ সময়টাতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবারই ঠোঁট শুষ্ক থাকে এবং ঠোঁট ফাটতে দেখা যায়। অনেকের আবার শুধু শীতকালই নয়, সারা বছরে ঠোঁট শুষ্ক থাকে ও ফাটে কিন্তু শীতকালে তা ফাটার হার একটু বেশি । অনেক ক্ষেত্রে আবার বংশগত অনেকের শীতকালে ঠোঁট ফাটে । মনে রাখতে হবে শীতে ঠোঁট ফেটে যাওয়া কোনো হতাশাজনক ঘটনা নয়। তবে অনেকেই ঠোঁট ফেটে যাওয়াকে স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারে না। তারা ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলে। আবার অনেকেই ঠোঁট ফেটে যাওয়া বন্ধ করতে ঠোঁটের আলাদা যতœ নিতে শুরু করেন, যার বেশীরভাগই বিফলে যায়। কেউ কেউ মনে করে শুধুমাত্র শীতে চামড়ার শুষ্কতার জন্য বুঝি ঠোঁট ফাটে। যার কারনে তারা বারবার জিহŸা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে রাখেন। কিন্তু এতে ঠোঁট ফাটা বন্ধ হয় না, বরং আরও বাড়ে।
তাই ঠোঁট ফেটে যাওয়ার আসল কারন জানতে হবে, তারপর ঠোঁট ফাটা বন্ধের উপায় খুঁজে বের করতে হবে।
সিবাসিয়াস গ্রন্থি নামক আণুবীক্ষণিক এক্সক্রনিক গ্রন্থি রয়েছে আমাদের ত্বকে বা চামড়ায়। যা থেকে একধরনের তৈলাক্ত (মেদ) বা মোমের মত রস ক্ষরিত হয় যাকে বলে সিবাম, যা আমাদের ঘামের সাথে মিশে পুরো চামড়ায় ছড়িয়ে যায় এবং চামড়াকে মসৃণ ও পানিরোধী রাখে। এর ফলে চামড়া ফাটে না।
কিন্তু শীতকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যাবার ফলে আমাদের ঘাম কম হয়। ফলে সিবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে বেরিয়ে আসা তেলতেলে পদার্থ শরীরের চামড়ায় ঠিকমতো ছড়িয়ে পড়তে পারে না। শরীরের শুকনো জায়গাগুলো তখন কুঁচকে গিয়ে ফেটে যায়। শরীরের অন্য জায়গার তুলনায় আমাদের ঠোঁটের চামড়া পাতলা। তাছাড়া ঠোঁটের অবস্থান নাকের ঠিক নিচে থাকার জন্য নিশ্বাসের সাথে বেরিয়ে আসা গরম বাতাস ঠোঁট দুটোকে আরও শুকিয়ে দেয়। যার কারনে শরীরের অন্য জায়গার তুলনায় ঠোঁট বেশী ফাটে। ঠোঁট ফাটার অন্যতম আরেকটি কারণ হচ্ছে ঠোঁট ও শরীরে আর্দ্রতার ভারসাম্যের অভাব। শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে বলে ঠোঁট আর্দ্রতা হারায় খুব তাড়াতাড়ি। খেয়াল করে দেখবেন, কোনো কারণে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়লে যে কোনো ঋতুতেই ঠোঁট ফেটে থাকে। শীতের আগের মৌসুমী ঠান্ডা হাওয়া ছাড়াও আরও কিছু বিষয় আছে, যা ঠোঁট ফাটাকে ত্বরান্বিত করে বা বাড়িয়ে দেয়। যেমন বারবার জিব দিয়ে ঠোঁট চাটার অভ্যেস, পুষ্টিহীনতা ও ভিটামিনের অভাব, প্রখর সূর্যের তাপ ও পানিশূন্যতা, বিভিন্ন প্রকার ওষুধ সেবন।
*শীতে ঠোঁটের যতœঃ
শীতে শুষ্ক হয়ে পড়ে ত্বক ও ঠোঁট। শুষ্ক ঠোঁট হারায় সজীবতাও। তাই এ সময় ত্বকের যতেœর পাশাপাশি ঠোঁটের জন্যও চাই বিশেষ যতœ।
‘ঠোঁট ফাটার কারণ হচ্ছে ঠোঁট ও শরীরে আর্দ্রতার অভাব। শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে বলে ঠোঁট আর্দ্রতা হারায় খুব তাড়াতাড়ি। তাই প্রয়োজন ঠোঁটের যতœ নেওয়া। ’ ‘ফাটা ও অপরিষ্কার ঠোঁট নিজেরও অস্বস্তির কারণ। একটু খেয়াল রাখলে এবং সামান্য যতœ নিলেই এ সময় ঠোঁট সুন্দর রাখা যায়। ’
প্রচুর পানি পান করুন। প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে বেরোবেন না, বিশেষ করে যখন ঠান্ডা বাতাস থাকে অথবা খুব তীব্র শীত পড়ে, তখন ঘরে থাকতে চেষ্টা করুন। বাইরে গেলে মুখের উপরিভাগে স্কার্ফ বা কোনো কাপড় ব্যবহার করতে পারেন; যা আপনার ঠোঁটকে শীতের হাওয়া থেকে আড়াল করে রাখে। কখনোই জিহŸা দিয়ে ঠোঁট ভেজাবেন না, আলোর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ঠোঁটকে বাঁচাতে লিপবাম ব্যবহার করতে পারেন। আর্দ্রতাকারক যন্ত্র হিউমিডিফায়ার কিনতে পারেন। কারণ, শীতে ঘরের ভেতরটাও শুষ্ক থাকে। হিউমিডিফায়ার আপনার ঘরের আর্দ্রতা ফিরিয়ে দেবে। ফাটা ঠোঁটের আর্দ্রতা ফিরিয়ে দেওয়া কঠিন। চেষ্টা করুন ফাটা ঠোঁটকে যতটা সম্ভব আর্দ্র রাখতে। ঠোঁট ফাটা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত শুষ্ক বাতাস থেকে ঠোঁটকে সুরক্ষিত রাখুন। ফাটা ঠোঁটে কখনো কখনো ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে, তাই ঠোঁট ফাটার ব্যাপারে হতে হবে সচেতন।
সহকারী অধ্যাপক
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
(চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি)
কামাল হেয়ার এন্ড স্কীন সেন্টার
ফার্মগেট, গ্রীণ রোড, ঢাকা।
সেল- ০১৭১১৪৪০৫৫৮।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।