নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের টানা তৃতীয় আসরেও সেমিফাইনাল গন্ডি পেরুতে ব্যর্থ হল বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে টুর্নামেন্টের শেষ চারে বাহরাইনের বিপক্ষে ১-০ এবং ২০১৮ সালে পঞ্চম আসরের সেমিফাইনালে ফিলিস্তিনের কাছে ২-০ গোলে হেরে ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছিল লাল-সবুজরা। এবার আফ্রিকান শক্তি বুরুন্ডির কাছে অসহায় আতœসমর্পণের পর হতাশটা আরো বাড়লো জামাল ভূঁইয়াদের। মুজিবর্ষের প্রথম ক্রীড়া আসর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে খেলার স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হল না। শেষ চার থেকেই বিদায় নিল স্বাগতিকরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রায় ১৫ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে জসপিন এনশিমিরিমানার হ্যাটট্রিকে বুরুন্ডি ৩-০ গোলে বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিল। শনিবার একই ভেন্যুতে বিকেল ৪টায় শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিনের মুখোমুখি হবে বুরুন্ডি। ফাইনাল শেষে বিজয়ী ও বিজিত দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করবেন ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের তৃতীয় আসরে ফাইনালে খেলেছিল লাল-সবুজরা। যদিও শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মালয়েশিয়া অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে হেরে রানার্সআপ ট্রফি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। তবে এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এ বছরের মার্চে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। তাই বছরটিকে স্মরণীয় করে রাখতে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ মুজিববর্ষের প্রথম ক্রীড়া আসর। এ আসরে সাফল্য পাওয়া অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে অবশ্যই ভিন্ন। কিন্তু সেই ভিন্নতার দেখা পেলেন না বাংলাদেশের ফুটবলাররা। যথারীতি অন্যসব আসরের মতই এবারো ব্যর্থতার চাঁদরে ঢাকা থাকল জাতীয় দলের পারফরম্যান্স।
সেমিফাইনালে আফ্রিকান শক্তি বুরুন্ডির বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই অনেকটা খর্ব শক্তির দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। ইনজুরি আক্রান্ত এই দলে
দেশসেরা ডিফেন্ডার তপু বর্মণ না থাকায় যেন আরো পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। ম্যাচে তপুর অভাব বার বার চোখে পড়েছে। রক্ষণভাগের দূর্বলতা কাটানো যেত ফরোয়ার্ডওদর ধারালো আক্রমণে। কিন্তু তাও সম্ভব হয়নি। কারণ ম্যাচের মাত্র চার মিনিটেই হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে মাঠ ছাড়েন আগের ম্যাচে দেশের পক্ষে জোড়া গোল করা ফরোয়ার্ড মতিন মিয়া। রক্ষণে তপু নেই, ফরোয়ার্ডে গোল মেশিন মতিন নেই। ব্যস, এখানেই যেন সব শেষ! বাংলাদেশ একাদশে তপু ও মতিন না থাকায় বাড়তি সুবিধা পায় বুরুন্ডি। ফলে মাঝে মাঝে ঝটিকা আক্রমণে গিয়ে নিয়মিতই গোল আদায় করে নেয় তারা। যদিও ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলা চলে। তবে ৪৩ মিনিটে পিছিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এসময় বাঁ প্রান্ত দিয়ে ডিফেন্ডার বø্যানচার্ডের পাসে বল পেয়ে জোড়ালো শটে গোল করেন জসপিন (১-০)। মিনিট দুয়েক পর ফের একই ভাবে বল বানিয়ে দেন বø্যানচার্ড। দারুণ হেডে দলকে দ্বিতীয় গোল এনে দেন জসপিন (২-০)। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে তৃতীয় গোল আদায় করে নেয় বুরুন্ডি। ছোট বক্সের সামনে থেকে বাঁ দিকে ঘুরে দারুণ এক শটে গোল করে টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন জসপিন (৩-০)। এর আগে গ্রæপ পর্বে মরিশাসের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন গোল করায় টুর্নামেন্টে জসপিনের গোলের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭।
বৃহস্পতিবার ম্যাচে রেফারি শেষ বাঁজি বাজালে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ে জামাল ভূঁইয়া বাহিনী। তবে বুনো উল্লাসে মেতে উঠেন আফ্রিকার দেশ বুরুন্ডির ফুটবলাররা। গানের তালে তালে তাদের আফ্রিকান নৃত্য যেন আরও কষ্ট বাড়িয়ে দেয় স্বাগতিকদের। প্রথমবার খেলতে এসেই ফাইনালে উঠে গেল তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।