নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ আসর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) দায়সারা আয়োজন’- কথাটি বলেছেন, বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন। বঙ্গবন্ধু শুধু একজন ব্যক্তি নন, বঙ্গবন্ধু একটি ইনস্টিটিউশন- এমন মন্তব্য করে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল আমিন বলেন,‘আমি বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধু না থাকলে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে কোনো ভূখন্ড থাকত না। তিনি জাতির জনক। অথচ তার নামে টুর্নামেন্ট দায়সারাভাবে আয়োজন করেছে বাফুফে। ২০২০ সাল বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী; ফুটবলের প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট দিয়ে জন্মশত বার্ষিকীর কার্যক্রমের শুরু। এমন টুর্নামেন্টে নিচুমানের এবং অপরিচিত দল এনে দায়সারা আয়োজন সত্যিই হতাশাজনক।’ এত তাড়াহুড়ো করে টুর্নামেন্ট আয়োজনের কারণটা কী! দায়সারা গোছের টুর্নামেন্ট আয়োজন করে বাফুফে তাদের নির্দিষ্ট কোন উদ্দেশ্য সাধন করতে চায়- প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন রুহুল আমিন। ১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ-ফিলিস্তিন ম্যাচ দিয়ে জাতির জনকের নামে টুর্নামেন্টের পর্দা উঠলেও এখন পর্যন্ত তা ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে পারেনি। প্রথম ম্যাচেই ফিলিস্তিনের কাছে ২-০ গোলে হেরে জাতিকে হতাশ করেছেন জামাল ভূঁইয়ারা। মাঠের পারফরম্যান্স যেমন হতাশ করেছে সমর্থক থেকে বোদ্ধাদের, তেমনি মাঠের বাইরের কার্মকান্ডেও বিরক্ত তারা। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এই টুর্নামেন্ট। যার মধ্য দিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে মুজিববর্ষের সূচনা হয়েছে। অথচ মর্যাদার এমন আসরেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেয়া হয়নি বলেই মনে করেন রুহুল আমিন। তার কথায়,‘মানহীন দল এনে আগেই টুর্নামেন্টের জৌলুস নষ্ট করেছে বাফুফে। তার ওপর জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা বলে মানুষকে বোকা বানিয়েছেন বাফুফের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। টুর্নামেন্টের সাদামাটা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রচার-প্রচারণা থেকে র্যালি আয়োজন সবখানেই বাফুফের অবহেলার ছাপ ছিল সুস্পষ্ট। এ যেন বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির পায়তারা।’
রুহুল আমিন আরো বলেন,‘বঙ্গবন্ধুর নামে টুর্নামেন্ট বাফুফের মতো এত বড় প্রতিষ্ঠান হয়েও আয়োজনে মুন্সিয়ানা দেখাতে ব্যর্থ। অথচ চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড সাধারণ একটি ক্লাব। ওরা ‘শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ’ আয়োজন করে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। মরা ফুটবলে প্রাণের সঞ্চার করেছে, ফুটবলবিমুখ জাতিকে মাঠে ফিরিয়ে এনেছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘গত বছরের শেষ দিকে আমরা শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছি। একটি সফল আয়োজন ছিল সেটি। স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছিল দর্শকপূর্ণ। উন্নতমানের ক্লাবগুলো খেলে গেছে। ফুটবলের মানও ছিল বেশ উন্নত। একটি ক্লাব যদি এমন আয়োজন করতে পারে, তাহলে বাফুফে কেন পারবে না জাতির জনকের নামে সফল টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে।’ শুক্রবার শেষ হয়েছে বঙ্গবন্ধু বিপিএল (ক্রিকেট) টুর্নামেন্ট। যার উদ্বোধনী থেকে সমাপনী অনুষ্ঠানে দারুণ মুন্সিয়ানার ছাপ রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেই উদাহরণ টেনে তরফদার রুহুল আমিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বিপিএল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখেও তো শেখা উচিত ছিল বাফুফের।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।