Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নাগরিকত্ব আইন স্থগিতাদেশের মামলা খারিজ করে দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০২০, ৩:০৫ পিএম

ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে দেশটির প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে নেতৃত্বাধীন বিচারপতির বেঞ্চ নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ১৪০টিরও বেশি করা আবেদনের শুনানিতে অংশ নেন।

এ সময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা দেশটির ক্ষমতাসীন সরকারকে এই আইনের বৈধতার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে করা আবেদনের জবাব দিতে চার সপ্তাহের সময় বেঁধে দেন। আদালত বলেছেন, নাগরিকত্ব আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ১৪০টির বেশি আবেদনের শুনানির পর পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ অন্তর্র্বতীকালীন একটি আদেশ দেবেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, প্রধান বিচারপতি বোবদে নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারকের বেঞ্চে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি চলছে। বেশিরভাগ আবেদনে নতুন নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।

আবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, নতুন নাগরিকত্ব আইনের বৈধতা নেই এবং এটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী। আবেদনকারীরা বলেছেন, ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্বের সুযোগ দেয়ায় এই আইন সমান অধিকারের পরিপন্থী।

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) ফলে প্রতিবেশী তিনটি দেশ থেকে অমুসলমানরা সহজে নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে পারবে। ফলে ২০১৫ সালের আগে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে যেসব অমুসলমান ভারতে অবস্থান করছে তারা নাগরিকত্ব পেতে পারবে।

আইনটির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়েরকারী আইনজীবী কপিল সিবাল রয়টার্সকে বলেন, আমরা সিএএর স্থগিতাদেশ চেয়েছি। ভারতীয় সংবিধানে সবার সমানাধিকার নিশ্চিতের যে কথা রয়েছে, এ আইনটি তা লঙ্ঘন করছে।

সম্প্রতি পাস হওয়া আইনটিতে স্থগিতাদেশে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে। তবে আইনটির সাংবিধানিক ন্যায্যতা নিয়ে আগামী ২২ জানুয়ারি শুনানিতে সম্মত হয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।

আইনটি পাশের পর থেকেই ভারতজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকারের মুসলিমবিদ্বেষী বিভিন্ন পদক্ষেপের একটি হিসেবে এ সিএএকে দেখছে অনেক বিশ্লেষক।

এর আগে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর ভারতের পার্লামেন্টে আইনটি পাস হয়ে যাওয়ার পর দেশটিতে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু হয়। এই বিক্ষোভে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এখনও দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে এই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) প্রতিবাদে আগামী ২৯ জানুয়ারি ভারত বনধের ডাক দিয়েছে দিল্লির শাহীনবাগের বিক্ষোভকারীরা। প্রায় এক মাস ধরে সিএএ ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকার (এনআরসি) প্রতিবাদে শাহীনবাগে বিক্ষোভ চলছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হলেও তা সফল হয়নি। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত পৃথিবীর কোনও শক্তিই তাদের নড়াতে পারবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ