Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

কিডনি দানে এগিয়ে মায়েরা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০২০, ৮:৪৮ পিএম

সম্পূর্ণ বিকল কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে বেঁচে থাকতে হয়। দেশে প্রতিবছর ৪০ হাজার মানুষ কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যুবরণ করছে। কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার, ডায়ালাইসিস মেশিন ও প্রশিক্ষিত জনবলের অভাবে এসব রোগীদের মধ্যে মাত্র ১০ হাজার জন চিকিৎসা পায়। অবশিষ্ট ৩০ হাজার রোগীর মধ্যে স্বল্প সংখ্যক কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া অধিকাংশ রোগী প্রায় বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য ডোনার (দাতা) বড় সমস্যা। দেশে যেসব রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপন হচ্ছে তাদের জন্য কিডনি দানে এগিয়ে আছেন মমতাময়ী মায়েরা।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে সোসাইটি অব অরগ্যান ট্রান্সপ্লান্টের উদ্যোগে ‘মরণোত্তর অঙ্গ দান ও সংযোজন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং সোসাইটি অব অরগ্যান ট্রান্সপ্লানটেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ডা. হারুন অর রশিদ এ তথ্য জানান।

দশ মাস দশ দিন গর্ভধারণ করে প্রসব বেদনা সয়ে যেমন সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখান, নিজে খেয়ে না খেয়ে সন্তানকে কোলেপিঠে করে মানুষ করেন, তেমনি সন্তানের অসুখ হলে অস্থির হয়ে পড়েন মা। সন্তানকে বাঁচাতে নিজের কিডনি দান করতে এতটুকু দ্বিধাবোধ করেন না।

দেশে ৩০৬ জন কিডনি প্রতিস্থাপনকারী ডোনারদের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে যত কিডনি প্রতিস্থাপন হয় তাদের ৬০ শতাংশ (১৮৯ জন) কিডনিদাতা গর্ভধারিণী মা। অবশিষ্ট দাতাদের মধ্যে ৩৪ শতাংশ (১০২ জন) ভাই-বোন, ২ দশমিক ৬ শতাংশ (৮ জন) স্বামী-স্ত্রী এবং ২ দশমিক ৪ শতাংশ (৭ জন) অন্যান্য আত্মীয়স্বজন।

তিনি বলেন, প্রতি বছর হাজার হাজার কিডনি বিকল রোগীদের বাঁচিয়ে রাখতে কিডনি প্রতিস্থাপনের ওপর জোর দিতে হবে। ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জীবিত মানুষকে কিডনি দানে উৎসাহিত করার পাশাপাশি ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট (ব্রেন ডেথ ঘোষিত রোগীর কাছ থেকে কিডনি, হার্ট, লাং, চোখ) অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংগ্রহের মাধ্যমে কিডনি রোগীসহ অন্য রোগীদেরকে নতুন জীবনদানে উৎসাহিত করতে হবে। ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে সন্তানকে বাঁচাতে মায়েদের কিডনি দানের সংখ্যা হ্রাস করা সম্ভব। কিডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে রোগীরা বহু বছর সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া। উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যারয়ের প্রো-ভিসি ডা. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর হাবিবুর রহমান রহমান দুলাল প্রমুখ।



 

Show all comments
  • Santu Ahmed ২২ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:১৮ পিএম says : 0
    কিডনি দিলে কত টাকা পাওযা যাবে আমি খুব বিপদে আছি ২০ লাখ টাকা দিনা পালিযে আছি । Bilad grup O-
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংবাদ সম্মেলন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ