পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর কোনো প্রমাণ তারা পায়নি বলে দাবি করেছে মিয়ানমার সরকারের নিযুক্ত একটি প্যানেল। তবে রাখাইন রাজ্যে ‘যুদ্ধাপরাধের’ প্রমাণ পেয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছে সরকার নিযুক্ত ওই তদন্ত কমিশন। কমিশন বলেছে, ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর দমনাভিযানের সময় সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে তারা। এসব ঘটনার জন্য ‘বহু ভ‚মিকায়’ থাকা লোকজনের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও ছিল এমন সিদ্ধান্তে আসার মতো ‘বাস্তব প্রমাণ’ পাওয়ার কথা জানিয়েছে তারা। যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ওইসব ঘটনার মধ্যে ‘নিরাপরাধ গ্রামবাসীদের হত্যা ও তাদের বাড়িঘর ধ্বংস’ করার ঘটনাও আছে বলে জানিয়েছে তারা। কিন্তু তাদের বিবৃতিতে প্যানেল ৩০টি পুলিশ পোস্টে হামলার জন্য রোহিঙ্গা জঙ্গিদের দায়ী করে এসব হামলাই দমনাভিযানের ‘স‚চনা’ করেছে মন্তব্য করে পরিস্থিতিকে ‘অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘাত’ বলে বর্ণনা করেছে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা বলছে, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালত রাখাইনে গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে রুল জারি করা হবে কিনা সে ব্যাপারে ২৩ জানুয়ারি আদেশ দেবেন। তার আগেই এ প্রতিবেদন প্রকাশ করলো মিয়ানমার। আইসিওইর তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু কর্মকর্তা নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা, তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়াসহ অসম শক্তিপ্রয়োগ করেছে; যা মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধের শামিল। তবে সেটাকে গণহত্যা বলা যায় না। কমিশনের মতে, একটি জাতি, গোষ্ঠী, জাতিগত বা ধর্মীয় সংগঠনকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সেখানে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে- এ নিয়ে তর্ক করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণের অভাব রয়েছে; আর সিদ্ধান্তে আসার ক্ষেত্রে এর অভাব আরও বেশি। ২০১৭ সালে রাখাইনে সামরিক অভিযানে ব্যাপক দমন-পীড়নের মুখে অন্তত ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলায় কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা নিহত হওয়ার কারণ দেখিয়ে তাদের সম‚লে উৎখাত করতে শুরু থেকেই সশস্ত্র শক্তি প্রয়োগ করছে মিয়ানমার। কিন্তু ভুক্তভোগীদের দাবি, তাদের ওপর নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ বর্বর হামলা চালানো হয়েছে। সেই ভয় আর নিরাপত্তাশঙ্কায় এখনও নিজভ‚মিতে ফিরে যেতে রাজি হচ্ছেন না রোহিঙ্গারা। গ্লোব্যাল জাস্টিস সেন্টারের প্রেসিডেন্ট আকিলা রাধাকৃষ্ণ এক বিবৃতিতে বলেন, সব লক্ষণ মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ও রোহিঙ্গারা ইতোমধ্যে যা জানেন সেদিকেই নির্দেশ করছে যে, গণধর্ষণ ও অন্যান্য গণহত্যার মতো অপরাধে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার কোনও ইচ্ছা নেই সরকারের। রয়টার্স, আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।