Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ড. আবদুল্লাহ আল-মুতী এবং অধ্যাপক আ. মু. জহুরুল হক স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০২০, ৯:৩০ পিএম

প্রখ্যাত বিজ্ঞান লেখক ড. আবদুল্লাহ আল-মুতী এবং অধ্যাপক ড. আ. মু. জহুরুল হক স্মরনে ১৮ জানুয়ারি শনিবার বিকেল ৪টায় বিজ্ঞান সংস্কৃতি পরিষদের উদ্যোগে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে এক আলোচনা সভা আনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। খ্যাতিমান এই দুই লেখকের জীবনের নানা বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন অধ্যাপক আলী আসগর, সুব্রত বড়ুয়া, অধ্যাপক এ এন রাশেদা, সৈয়দ জিয়াউল হক, অধ্যাপক ফারসিম মান্নান এবং মুনির হাসান।
সুচনাপর্বে বিজ্ঞান সংস্কৃতি পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ জিয়াউল হক এ দুই খ্যাতিমান ব্যাক্তির জীবনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। এছাড়া তিনি বিজ্ঞান সংস্কৃতি পরিষদের শুরু এবং কর্মকান্ড সম্পর্কে আলোকপাত করেন। অধ্যাপক এ এন রাশেদা ড. আবদুল্লাহ আল-মুতী’র সাথে তার কর্মকান্ডের নানা স্মৃতি তুলে ধরেন। শিক্ষাবার্তা পত্রিকাটির প্রকাশনার সরকারী অনুমোদন থেকে শুরু করে নানান দিকে ড. আবদুল্লাহ আল-মুতী-র উদার সহায়তা এবং উৎসাহ প্রদানের কথা তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। অধ্যাপক ফারসিম মান্নান বলেন অধ্যাপক ড. আ. মু. জহুরুল হক ভাষার ব্যবহারে বিশেষ ধারা তৈরী করেছিলেন, এখনকার তরুন লেখকদের সেটা জানা খুবই প্রয়োজন। মুনির হাসান বলেন, তাঁরা দুজনই বিজ্ঞানের নানা বিষয়কে সাধারণের কাছে তুলে ধরার জন্য প্রচুর লিখেছেন। বাংলাদেশে বিজ্ঞান জনপ্রিয় আন্দোলনের এই দুই পথিকৃৎকে যথাযথভাবে সম্মান জানানোর তেমন কিছু আমরা করতে পারিনি কিন্তু এটা আমাদের করতে হবে।
অধ্যাপক আলী আসগর বলেন পাঠ্যতালিকায় বিজ্ঞানের অবনমন রোধের প্রচেষ্টায় ড. আবদুল্লাহ আল-মুতী তাকে সমর্থন যুগিয়ে অভিনন্দিত করেন। তিনি বলেন এসব মহৎ মানুষের জীবনাচরনই তাদের বিশেষ বার্তা। তাই এদের জীবনকে সঠিকভাবে জানা খুব জরুরী। তিনি এরকম একটি আয়োজনের জন্য বিজ্ঞান সংস্কৃতি পরিষদকে ধন্যবাদ জানান।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন ড. আবদুল্লাহ আল-মুতী ছিলেন একজন কর্মবীর। সরকারী পদে অধিষ্ঠিত থেকেও তিনি সবসময় প্রগতিশীল কাজকর্ম সম্পাদন করে গেছেন তার নিজস্ব পদ্ধতিতে। তার শক্তিশালী এবং বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাক্তিত্বর কারনেই এটি সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে ড. আ. মু. জহুরুল হক ছিলেন বিজ্ঞানের নিবেদিতপ্রান একজন লেখক। তার চমৎকার গদ্য এবং ভাষার ব্যবহার বিজ্ঞান লেখায় এক নতুন মাত্রা যুক্ত করেছিল।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন তিতাস। আয়োজনে সহযোগিতা করেছে বাংলা একাডেমি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্মরণসভা

১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ