Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আব্দুল মতিন খসরু ত্যাগের রাজনীতি করে গেছেন : স্মরণসভায় নেতৃবৃন্দ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ১১:০৭ পিএম

সাবেক আইনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার এডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু স্মরণে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, মতিন খসরু ভোগ নয়, ত্যাগের রাজনীতি করে গেছেন, তা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। এই নীতি ও আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলাদেশকে উন্নতি-সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে হবে। তারা বলেন, সাবেক মন্ত্রী ও সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি আব্দুল মতিন খসরু ছিলেন অত্যন্ত ভদ্র, বিনয়ী এবং উদার এবং বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উজ্জীবিত সর্বগুণের অধিকারী একজন নেতা। তার হঠাৎ করে চলে যাওয়া দেশ এবং জাতির জন্য অনেক বড় ক্ষতির কারণ।

আজ ‘বাংলাদেশ আইকন’ আয়োজিত আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু তাহেরের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু ও এডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ, কুমিল্লা-৫ এলাকারসোনার বাংলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আবু সালেক মোহাম্মদ সেলিম রেজা সৌরভ এবং আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা’র সাধারণ সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।

এডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুর সমসাময়িক নেতা মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু তার জীবনের বিভিন্ন দিক আলোকপাত করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে তাঁর দেখানো পথ ধরে আব্দুল মতিন খসরু সারাজীবন রাজনীতি করে গেছেন। তার এই আদর্শ থেকে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের অনেক কিছু শেখার আছে। আব্দুল বাসেত মজুমদার বলেন, আব্দুল মতিন খসরু অতি অল্প সময়ে আইনাঙ্গনে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তার নম্রতা, ভদ্রতা, বিচক্ষণতা, দেশপ্রেম সর্বোপরি দলের প্রতি আনুগত্য ও আস্থা তাকে সম্মানের আসনে স্থান করে দিয়েছে।

সভায় আলোচকরা বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, অনেকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ মহান জাতীয় সংসদে বাতিলে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সকল ষড়যন্ত্র চূর্ণ করে উচ্চ আদালতে ইন্ডেমনিটি বাতিল চ্যালেঞ্জ করে করা রিট মোকাবেলা করেছিলেন। এলাকার মানুষের ভোটের মর্যাদা দিয়ে তিনি তার নির্বাচনী এলাকা তথা কুমিল্লা ও দেশের মানুষকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন উল্লেখ করে তারা বলেন, কুলাঙ্গার মোস্তাক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে যে কলঙ্ক জাতির ললাটে লেপে দিয়েছিল এবং কুমিল্লার মানুষকে লজ্জিত করেছিল, সেই কলঙ্ক কালিমা মুছে দেয়ার ক্ষেত্রে কুমিল্লারই সন্তান আব্দুল মতিন খসরু যথাযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। তার সাহসী ভূমিকার জন্য আমরা জাতির পিতার হত্যার বিচার দেখতে পেয়েছি। এটা তার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন। এছাড়া, দলের দুঃসময়ে তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আইনি সহায়তা প্রদান করে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাবার সাহস ও উৎসাহ যোগাতেন। স্মরণসভায় তারা আব্দুল মতিন খসরুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্মরণসভা

১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ