নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মোহাম্মদ হাফিজ। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেটার। পাকিস্তান ক্রিকেটের সোনালী যুগে কিংবদন্তী সাঈদ আনোয়ার, ইনজামাম-উল-হক, ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, মোহাম্মদ ইউসুফসহ বড় বড় তারকাদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করেছেন। সেই সময়ের তরুণ হাফিজ একসময় হয়ে উঠেছেন পাকিস্তানের নির্ভরতার প্রতীক। সাকিব আল হাসান পূর্ববতী সময়ে এক নম্বর অলরাউন্ডার হিসেবেও শাসন করেছেন বিশ্ব। অনেক ম্যাচে পাকিস্তান দলকে এনে দিয়েছেন জয়। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপট ভিন্ন। প্রায় সময়ই উপেক্ষীত থাকেন দলে। তবে এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ডাক পেয়েছেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
‘হাতি মরলেও লাখ টাকা’ এমন একটা প্রবাদ আমরা জানি। কিন্তু হাফিজ এখনও শেষ হয়ে যাননি। বরং জ্বলে উঠতে চান বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজে। অবদান রাখতে চান পাকিস্তান ক্রিকেট দলের হয়ে। গতকাল লাহোরে পাকিস্তানি প্রভাবশালী গণমাধ্যম ডনের বরাত দিয়ে হাফিজ জানিয়েছেন এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটি ভালো খেলা প্রদর্শন করেই ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চান তিনি, নিজের অভিজ্ঞতা উজাড় করে দিতে চান খেলার মাঠে, ‘এটা আমার পরিকল্পনা, দেখি বাদবাকি কিভাবে কি হয়। নিজের অভিজ্ঞতা দ্বারা অন্যদের পথ দেখানো অবশ্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি এমন ব্যক্তি নই যে অন্যদের নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চায় না। দলের যে কেউ আমার কাছে পরামর্শ কিংবা রাস্তা দেখতে চাইলে আমি সর্বক্ষণই প্রস্তুত।’
আর সবকিছুর চাইতে পাকিস্তানের জার্সিতে খেলাকে অনন্য সম্মানের মনে করেন সাবেক এই পাক অধিনায়ক, ‘পাকিস্তানের হয়ে খেলা নি:সন্দেহে সম্মানের। আমার দৃষ্টি সামনে নিবদ্ধ। দলের জন্য ভালো কিছু করতে চাই। একজন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে আপনাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রেক্ষাপটের সামনে দাঁড়াতে হয়। কখনও চলার পথ পরিবর্তন করতে হয়। কিন্তু আমি নিজেকে সবসময় ইতিবাচক রাখতে চাই। অনুশীলনে ও খেলায় সঠিক সৌহার্দ্যতা ধরে রাখতে দৃঢ় প্রত্যয়ী।’
পাকিস্তানের হয়ে সবশেষ দু’টি টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিনি ভালো খেলেছিলেন। জিতেছিলেন ম্যাচ ও সিরিজ সেরার সম্মান। তাও এক বছরেরও বেশি সময়, সেই ২০১৮ নভেম্বরের ৪ তারিখ। ওয়ানডেতে তার শেষ প্রতিপক্ষ আবার বাংলাদেশ, ২০১৯ বিশ্বকাপে। কিন্তু আবার ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনে কোন চাপ দেখছেন কিনা? ক্যারিয়ারে অনেক চড়াই-উৎরাই পেরুনো এই অলরাউন্ডারকে এমন প্রশ্নের সামনে দেখা গেল নির্ভার, ‘আমি মনে করি এটা (দলে ডাক পাওয়া) আসার কথা ছিল। এতে কোন চাপ দেখছি না।’ ঘরের মাঠে এতো দর্শকের সামনে খেলাকে মনে করেন সৌভাগ্যের। দীর্ঘ অনেক বছর ধরে এই স্বাদ নেয়ার জন্য মুখিয়ে ছিলেন তিনি, ‘ঘরের মাঠে এতো দর্শক-সমর্থকের সামনে খেলতে পারাটা বড় গর্বের। এই সম্মান দীর্ঘদিন ধরেই আমরা পাইনি। অনেক বছর ধরেই এই অনন্য স্বাদ থেকে বঞ্চিত ছিলাম আমরা।’
পাকিস্তন দলে বর্তমান অধিনায়ক বাবর আজম। কিন্তু সাবেক এই অধিনায়ক জানেন, কিভাবে একজন অধিনায়ক উজ্জীবিত থাকতে পারেন, ‘প্রতিটি জয়ই অধিনায়ককে সাহস জোগায়। বাবর আজম বর্তমানে দলপতি এবং সে দারুণ একজন প্রতিভা ও ব্যক্তিত্ব। আমরা তাকে সাহস জোগানের জন্য জয় পেতে চাই।’ বহু নাটকীয়তার পরও বাংলাদেশ দল পাকিস্তানে আসার সিদ্ধান্ত নেয়ায় হাফিজের পক্ষ থেকে পেয়েছেন ধন্যবাদ, ‘আমি বাংলাদেশ দলকে পাকিস্তানে স্বাগত জানাই। আশাকরি ক্রিকেটভক্তরা স্টেডিয়ামে এসে তাদের উপস্থিতির জানান দিয়ে আমাদের হৃদয়কে আলোড়িত করবে।’
সবশেষে বাংলাদেশ দলকে কিন্তু নিরবে একটি বার্তা দিয়েই রাখলেন হাফিজ। একদিকে হাফিজ নিজের অভিজ্ঞতার পুরোটা দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন, উল্টোদিকে বাংলাদেশ দলে বাংলাদেশ দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মুশফিকুর রহিম যে জানিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তান সফরে না যাওয়ার কথা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।