মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এক আধজন নয়, অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে যাচ্ছেন ভারতের ৩৬ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিজেপির হয়ে প্রচারের পাশাপাশি উন্নয়নের দিকটাও দেখবেন তারা। বিরোধীরা অবশ্য এটাকে নিছক প্রচারের গিমিক বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন।
পরিকল্পনাটা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছয় দিন ধরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা দলে দলে জম্মু ও কাশ্মীর যাবেন। সেখানে গিয়ে প্রচার করবেন, ৩৭০ ধারা বিলোপ করার ফলে আদতে কতটা লাভ হয়েছে। ৩৭০ বিলোপের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদে দাবি করেছিলেন, এ বার উন্নয়নের পথে হাঁটবে কাশ্মীর। কিন্তু তার কিছুই না করে উল্টো ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ ও সেখানকার নেতাদের বন্দী করে রেখে ঘরে বাইরে সমালোচনার মুখে পড়েছে মোদি সরকার। চাপের মুখে বিদেশী সাংসদ ও রাষ্ট্রদূতদের আলাদা সফরে কাশ্মীরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদেরকে বন্দী নেতা ও সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলতে না দেয়ায় সেই উদ্যেগ ফলপ্রসূ হয়নি। এবার তাই সেখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রচার করা হচ্ছে, উন্নয়ন নিশ্চিত করতেই তারা কাশ্মীরে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে বিজেপি মুখপাত্র সুদেশ বর্মা দাবি করেছেন, ‘কাশ্মীরের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হচ্ছে। এই সময় তাই উন্নয়নের পথে চলাটা খুবই জরুরি। মন্ত্রীরা কাশ্মীরে গিয়ে সেই উন্নয়ন নিশ্চিত করবেন। তাতে গতি আনবেন।’ তবে মন্ত্রীদের কাশ্মীর যাওয়াটা নতুন নয়। তবে এতজন মন্ত্রীর সফর অবশ্যই আগে হয়নি। এর মধ্যে একটা বার্তা দেয়ার প্রয়াস অবশ্যই আছে।
প্রথমে ইইউ’র এমপিদের সফর, তারপর যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু দেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে যাওয়া, এ বার ৩৬ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সফরের পিছনে বার্তা দেয়ার চেষ্টাটা হল, কাশ্মীর এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। দেশ ও বিদেশের কাছে এই বার্তাটা দেয়ার মরিয়া চেষ্টা করছে মোদি সরকার। কিন্তু সরকারের এই দাবি সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখান করছেন কাশ্মীরের নেতারা। সাবেক বিধায়ক ও সিপিএম নেতা ইউসুফ তারিগামি বলেন, ‘মন্ত্রীরা আসছেন বিজেপির প্রচার করতে। ৩৭০ বিলোপের পর কতটা উন্নয়ন হয়েছে? পাঁচ মাস কেটে যাওয়ার পর কতটা বিনিয়োগ হয়েছে? কতজন চাকরি পেয়েছেন? কাশ্মীরিরা তো চাকরি পাওয়ার কথা ভুলে গিয়েছে। এখন চতুর্থ শ্রেণীর চাকরিও সর্বভারতীয় ভিত্তিতে হয়। লোকের জীবনধারণের ন্যূনতম জিনিস পাচ্ছে না। আর কেন্দ্রীয় সরকার বড় বড় দাবি করে যাচ্ছে।’
কংগ্রেস বলছে, পরিস্থিতি যদি এতটাই স্বাভাবিক, তা হলে এতজন প্রচারকারী পাঠাবার কী দরকার? কপিল সিবালের বক্তব্য, ‘অমিত শাহ বলেছিলেন, কাশ্মীরে সবকিছু স্বাভাবিক। তা হলে এতজন প্রচারকারী পাঠাবার দরকার কী? পাঠাতে হলে অন্যদের পাঠাতেন, যারা প্রচারকারী নন। তারা পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করতেন।’
মন্ত্রীদের মধ্যে রবিশঙ্কর প্রসাদ যাচ্ছেন সোপরো, পীয়ূষ গোয়েল শ্রীনগরে, কিষেণ রেড্ডি যাবেন গন্ধরবাল, ভি কে সিং উধমপুর এবং স্মৃতি ইরানি কাটরা যাবেন। অন্য মন্ত্রীরাও জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে প্রচারের কাজ করবেন। কিন্তু তাতে কাশ্মীরের লোকেরা কতটা সন্তুষ্ট হন সেটাই এখন দেখার। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।