মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
একঝলকে দেখলে মনে হবে, তিন লেনের একটি সড়ক তৈরির কাজ চলছে। যার দু’ধার ঘেঁষে কাজ করছেন প্রায় হাজার দেড়েক মানুষ। সকলের পরনে শেফ অ্যাপ্রন, মাথায় শেফ টুপি। আসলে তিন লেনের কোনও সড়ক নয়, ওই আদলেরই একটি কেকে ফিনিশিং টাচ দিতে ব্যস্ত শেফরা। এটিই বিশ্বের দীর্ঘতম কেক বলে দাবি কেরালার কেক প্রস্তুতকারকদের। যার দৈর্ঘ্য সাড়ে ছয় কিলোমিটার!
ভ্যানিলার উপর চকলেটের স্তর। দীর্ঘ রাস্তার মতো দেখতে কেকটি কেরালার ত্রিশূরের একটি অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে সাজানো হয়েছে। অন্তত হাজারটি টেবিলজুড়ে রাখা হয়েছে কেক। কেকটি চার ইঞ্চি পুরু, ২৭ হাজার কেজি তার ওজন। প্রস্তুতকারকরা জানিয়েছেন, ১২ হাজর কেজি চিনি এবং ময়দা লেগেছে কেকটি বানাতে। হাত লাগিয়েছেন ১৫০০ কর্মী এবং শেফ। তাদের প্রত্যেকের পরনে ঐতিহ্যশালী অ্যাপ্রন এবং টুপি। বুধবার ত্রিশূরের অনুষ্ঠানে বিশ্বের দীর্ঘতম কেক দেখতে কার্যত জনসমুদ্র নেমে আসে। একদিকে শেফরা দাঁড়িয়ে কেকের উপর নকশা করছেন, আরেকদিকে জনতা মুগ্ধ হয়ে দেখছে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর কেকটি।
কেরালার বেকারস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক নৌশাদ জানান, ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে এটাই দীর্ঘতম কেক। ৬.৫ কিলোমিটার। তবে এর নিঁখুত দৈর্ঘ্য আমরা এখনও মেপে উঠতে পারিনি। নিজেদের দক্ষতা গোটা বিশ্বকে জানান দিতেই আমরা এই কেকটি বানিয়েছি। এত বড় কেকটি বানাতে গিয়ে আমরা পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিও মাথায় রেখেছি। আর এর স্বাদ? যারা চেখে দেখছেন, তারাই জানেন।’
এর আগে চিনের বেকারি সংস্থা জিক্সির তৈরি ৩.২ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্রুট কেকটিই ছিল গিনেসের তালিকায় দীর্ঘতম কেক। এবার সেই রেকর্ডকে অনেকটা ছাপিয়ে গিয়েছে বেকারস অ্যাসোসিয়েশন অফ কেরালার এই চকো-ভ্যানিলা কেক। বছরের শুরুতেই যার রূপে, গুণে মজেছেন ত্রিশূরবাসী। এবার শুধু গিনেসের সার্টিফিকেট পাওয়ার অপেক্ষা। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।