মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কল বনাম মার্কল! সে রকমটাই হতে চলেছে এ বার। মেয়ের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন বাবা। মেয়ে, মেগান মার্কল, ব্রিটেনের রাজপরিবারের ডাচেস অব সাসেক্স। মেগানের বাবা টমাস মার্কল আগেও বিতর্কে জড়িয়ে শিরোনামে এসেছেন। আজ জানা গিয়েছে, মেয়ের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন তিনি।
গত বছর মেগান জানিয়েছিলেন, ব্রিটেনের একটি ট্যাবলয়েডের বিরুদ্ধে মামলা করতে চলেছেন তিনি। ২০১৮ সালের আগস্টে বাবাকে লেখা মেগানের একটি চিঠি ওই ট্যাবলয়েড প্রকাশ করেছিল। মেগানের মতে, তার ব্যক্তিপরিসরের অধিকার লঙ্ঘন করে ওই কাজ করেছে ট্যাবলয়েডটি। রাজকুমার হ্যারির সঙ্গে বিয়ের কয়েক মাস পরের ঘটনা সেটি।
ওই মামলার সূত্রেই পত্রিকাটি এ বার মেগানের বাবাকে সাক্ষী হিসেবে ডাকতে চলেছে বলে দাবি। রাজপরিবার থেকে ‘সিনিয়র রয়্যাল’ হিসেবে সরে দাঁড়ানোর কথা বলে গত সপ্তাহ থেকে চর্চায় হ্যারি-মেগান। এ বার মেগানের বাবাকে কোর্টে হাজির করা হলে সেটাও রাজপরিবারের পক্ষে কম অস্বস্তির বিষয় হবে না। আজ আবার জানা গিয়েছে, স্যানড্রিংহ্যামের বৈঠকে রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথের সঙ্গে কানাডা থেকে কনফারেন্স কলে মেগানের যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি তা করেননি। বলা হয়েছে, ওটা অত ‘জরুরি নয়।’
ইতিমধ্যে ওই পত্রিকাটি জানিয়েছে, আত্মপক্ষ সমর্থনে কোনও কসুর করবে না তারা। হাইকোর্টে ইতিমধ্যে তারা আইনি কাগজপত্রও জমা দিয়ে দিয়েছে। রাজপরিবার নিয়ে মানুষের ‘বৈধ আগ্রহ’ রয়েছে বলে দাবি তাদের। ট্যাবলয়েডটি আদালতে জানিয়েছে, মেগান রাজপরিবারের ‘উপরতলার সদস্য।’ জনতার অর্থে ‘প্রচুর সুযোগসুবিধা এবং সম্পদ’ ভোগ করেন। ট্যাবলয়েড কর্তৃপক্ষের মতে, মেগান ব্যক্তিপরিসরের অধিকার ভঙ্গ হয়েছে বলতেই পারেন না কারণ, তিনি নিজেই তার বিয়ের পরে টমাস মার্কল সম্পর্কে নেতিবাচক তথ্য ছড়াতে বলেছিলেন তার বন্ধুদের।
৭৫ বছর বয়সি টমাস মার্কল আইনজীবীদের এমন কিছু টেক্সট মেসেজ দেখিয়েছেন, যা থেকে বোঝা যাচ্ছে বাবা-মেয়ের সম্পর্ক ভেঙে পড়ার দিকে কী ভাবে এগিয়েছে। মেসেজগুলির সময়ও হ্যারির সঙ্গে মেগানের বিয়ের পর্বেই।
সেই সব মেসেজ থেকে জানা যাচ্ছে, টমাস মেয়েকে জানিয়েছিলেন, তিনি বিয়েতে আসতে পারছেন না। তার হৃদ্যন্ত্রে অস্ত্রোপচার হবে। তাই দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। চিকিৎসকেরা শারীরিক কারণেই তাকে বিমান-যাত্রার ব্যাপারে নিষেধ করেছেন। এর পরে তিনি হ্যারির কাছ থেকে জবাব পান। তাতে নাকি লেখা ছিল, টমাসের আচরণে মানসিক ভাবে আঘাত পেয়েছেন মেগান। তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে কিছুই প্রশ্ন করা হয়নি বলেও অভিযোগ টমাসের। তার পরে হ্যারির উদ্দেশে টমাসের জবাব ছিল, ‘আমি মেগান বা তোমাকে আঘাত দেয়ার জন্য কিছু করিনি। দেখা যাচ্ছে, আমার হার্ট অ্যাটাকও তোমাদের অসুবিধার কারণ।’
যে চিঠিটি নিয়ে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে বিতর্ক, তা টমাসই সংবাদমাধ্যমে দিয়েছিলেন ফাঁস করার জন্য। তার তখন বক্তব্য ছিল, তিনি নিজের অবস্থানটা স্পষ্ট করতে চান। কারণ তত দিনে আর একটি পত্রিকায় মেগানের বন্ধুরা জানিয়ে ফেলেছেন, বাবার ব্যবহারে তিনি কতটা ব্যথিত। টমাসের আরও অভিযোগ, বারবার চেষ্টা করেও মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার কোনও সুযোগই তিনি পাননি। রাজকুমার হ্যারি বা আট মাসের নাতি আর্চির সঙ্গে তার এখনও পর্যন্ত দেখাই হয়নি। সূত্র: ডেইলি মেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।