মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জাতীয় নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তোলপাড় ভারত। তার মধ্যেই এ বার ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) অ্যাক্টের বিরুদ্ধেও সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হল। ২০০৮ সালের এই আইন অসাংবিধানিক ঘোষণা করার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল ভারতের কংগ্রেসশাসিত ছত্তিশগড়ের সরকার। তারাই প্রথম ‘এনআইএ’ আইনকে চ্যালেঞ্জ জানাল।
মঙ্গলবারই সংবিধানের ১৩১ ধারা মেনে নাগরিকত্ব আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কেরালা সরকার। তার ঠিক পরদিনই সেই ১৩১ ধারাতেই ‘এনআইএ’ আইনকে বাতিল করার দাবি জানিয়ে ছত্তিশগড় সরকার আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কোনও বিষয় নিয়ে রাজ্যগুলিকে সুপ্রিম কোর্টে সরাসরি আবেদন করার কথা বলা আছে ১৩১ নং ধারায়।
আবেদনে ছত্তিশগড় সরকার বলেছে, ‘শ্রদ্ধার সঙ্গে রাজ্য মনে করছে যে ‘এনআইএ’ আইন সংবিধানবিরোধী এবং সংসদের রীতির পরিপন্থী। কারণ এই আইন কেন্দ্রকে একটি তদন্তকারী সংস্থা গঠন করার ক্ষমতা দিয়েছে। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী এটা রাজ্যের নিয়ন্ত্রণাধীন বিষয়।’ রাজ্যের আইনজীবী সুমের লোধি এই আবেদন জানিয়ে বলেছেন, বর্তমান ‘এনআইএ’ আইন রাজ্যপুলিশের তদন্ত করার অধিকার কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি, কেন্দ্রের হাতে স্বৈরাচারী ক্ষমতা দিয়ে দিয়েছে। তার মতে, এই আইনে কোথাও তদন্তের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহাবস্থান বা অনুমতি নেয়ার প্রসঙ্গ নেই, যা কেন্দ্র-রাজ্যের সম্পর্কের ঐতিহ্যের পরিপন্থী। ছত্তীসগঢ়ের অ্যাডভোকেট জেনারেল সতীশ বর্মা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঘটনা তথা মামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এনআইএ-কে ব্যবহার করা হয়েছে।
আইন পাশ হওয়ার প্রায় ১২ বছর পর দেশের মধ্যে এই প্রথম এনআইএ আইনের বিরুদ্ধে কোনও মামলা হল আদালতে। এনআইএ আইন পাশ হয়েছিল কেন্দ্রে কংগ্রেস তথা ইউপিএ সরকারের আমলেই। ২৬/১১ মুম্বাই হামলার প্রেক্ষিতে তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের নেতৃত্বে ২০০৮ সালে তৈরি হয় এনআইএ আইন। তখন সংসদে ইউপিএ শরিক তো বটেই অধিকাংশ বিরোধী দলও এই বিল পাশে সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু এত বছর পর কংগ্রেস আমলে পাশ হওয়া সেই আইনকেই অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে মামলা ঠুকল ভূপেশ বাঘেল সরকার।
আমেরিকার এফবিআই-এর ধাঁচে সেই সময় তৈরি হয় এনআইএ। সিবিআই-এর চেয়েও বেশি ক্ষমতাধর সম্পূর্ণ স্বায়ত্বশাসিত এই বাহিনী মূলত জঙ্গি কার্যকলাপ বা জঙ্গি হামলার তদন্ত করে। কোথাও জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটলে বা জঙ্গি কার্যকলাপের তদন্ত করতে যে কোনও সময় যে কোনও রাজ্যে যেতে পারেন এই বাহিনীর গোয়েন্দারা। যে কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করতে পারেন তারা। তদন্ত বা গ্রেফতারি, কোনও ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকারের অনুমতি নিতে হয় না এনআইএ-কে। এখানেই প্রশ্ন তুলেছে ছত্তীসগঢ় সরকার। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।