গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা, নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, গ্রেফতার ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন দক্ষিণ সিটিতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নগরবাসীর কাম্য। এ জন্য সবার জন্য সমান সুযোগ, নিরপেক্ষ প্রশাসন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অপরিহার্য।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর একটি বিশেষ মহল থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ক্রমেই বিনষ্ট করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, রোববার সূত্রাপুর ও কোতয়ালী থানার বিভিন্ন ওয়ার্ডে আমার নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগের কর্মসূচি ছিল। ঢাকা জজকোর্ট এলাকা থেকে এই প্রচারণা শুরু করে তাঁতীবাজার, শাখারীবাজার হয়ে নয়াবাজারে মধ্যাহ্ন বিরতি দেয়া হয়। বিরতির পর সেখান থেকে পুনরায় প্রচারণা চালানোর সময় পুলিশ অহেতুক আমাদের কয়েকজন কর্মীকে হয়রানি করতে থাকে। সে সময় আমি সরাসরি গিয়ে হস্তক্ষেপ করায় পুলিশ নিবৃত হয়। কিন্তু গণসংযোগ চালিয়ে আমি সামনে এগিয়ে গেলে পেছন থেকে আমার ৪জন কর্মীকে আটক করে। এ খবর শোনামাত্র আমি বংশাল থানায় যাওয়ার উদ্যোগ নেই। কিন্তু তখন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, কাউকে আটক করা হয়নি।
এরইমধ্যে খবর আসে ওয়ারী থানার অধীন বলধা গার্ডেন এলাকায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৫জন কর্মীকে ধানের শীষ পোস্টার লাগানোর সময় পুলিশ আটক করে। পরে আমি সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। এর পরপরই পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়। হাজারীবাগ পার্কের সামনে থেকে আমার প্রচার কাজ চালানোর সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা রিক্সার গতিরোধ করে ২জন কর্মীকে মারধর করে মাইক ও মাইকের সরঞ্জাম রেখে দেয় এবং পরবর্তীতে থানা পুলিশে দেয়ার হুমকি দেয়।
প্রায় একই সময় ৩৮নং ওয়ার্ডস্থিত ৩নং যোগীনগর রোডে সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রার্থী মেহেরুন নেসা’র নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালানো হয়। এ হামলায় শ্রমিক দলের ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুস সালাম গুরুতর আহত হয়। ৬২নং ওয়ার্ড নয়ানগর এলাকার যাত্রাবাড়ী থানার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ইয়ামিন, ইয়াছিন ও ইমন’কে ধানের শীষের পক্ষে পোষ্টার লাগানোর কারণে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করে।
কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি এহসান মামদুদ, নিখিল চন্দ্র শ্রাবন ও সিরাজ ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ শেষে গোপীবাগ আসার পথে যোগীনগর এলাকায় স্থানীয় যুবলীগ কর্মীরা হামলা করে। এতে গুরুতর আহত হয়। ২৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সাহিদা মোর্শেদ-এর প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. তামিম ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাকিবসহ অন্যরা প্রচারণা না করার হুমকি এবং তার বাসায় গিয়ে নেতা-কর্মীদের দীর্ঘ ৫ ঘন্টা আটকে রাখে। সকাল ১১টায় নূরফাতে আলী লেনে বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষ ও লাটিম মার্কার প্রচারণাকালীন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নেতৃত্বে পুলিশসহ তার নেতা-কর্মীদেরকে নিয়ে সাহিদা মোর্শেদ-এর প্রচারণা বাধাগ্রস্থ করে এবং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতির চশমা নিয়ে তাকে লাঞ্ছিত করে।
আওয়ামী লীগ কর্মী পাভেল ও রনি ৪১নং ওয়ার্ডের ২৩নং ওয়্যারষ্ট্রীটের সামনে থেকে ধানের শীষের পক্ষে মাইকিং করার সময় মাইক ভাংচুর করে এবং জুয়েল’কে মারধর করে আওয়ামী লীগ অফিসে নিয়ে যায়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তের জনাব ইশরাক হোসেন বলেন যে, সম্প্রতি আমার প্রতিপক্ষ মেয়র প্রার্থী সম্প্রীতির কথা বলেছেন, কিন্তু এটাই কি সম্প্রীতির নমুনা? যদি তিনি সত্যিই সম্প্রীতি চান, তাহলে আজ এখন থেকেই এধরনের হামলা বন্ধ করার উদ্যোগ নিবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।