গায়ে কেরোসিন ঢেলে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মাদরাসা ছাত্রী আত্মহত্যার চেস্টা করেছে। গুরুতর আহতাবস্থায় ওই ছাত্রীকে প্রথমে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। শনিবার রাতেই ঢাকা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত ছাত্রী সিপা (১৭) উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের কাইজাঙ্গা গ্রামের প্রবাসি দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। সে হাজীগঞ্জ দারুল উলুম আহমাদিয়া কামিল মাদরাসার ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী। হাজীগঞ্জ বাজারের ট্রাক রোডে তারা একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।

সিপা’র চাচা হাসপাতালে জানায়, মাদরাসা থেকে এসেই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার কথা শুনেছি। তাকে বকাÑঝকা করায় রাগ করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ছেলেদের সাথে মুঠো ফোনে কথা বলায় সিপার মা বকা দেয়ায় সে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার মুঠোফোনে আগুনে মেয়েটির শরীর প্রায় পুড়ে গেছে। বাঁচার লক্ষণ কম। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা প্রেরণ করা হয়েছে।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনি জানান, ঘটনা শোনার সাথে সাথে আমি হাসপাতালে গিয়েছি। আগুনে শিক্ষার্থীর শরীরের প্রায় ৭০ ভাগ পুড়ে গেছে।

এ ব্যাপারে সিপার মা শিল্পীর মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার এক নিকট আত্মীয় জানান, শিল্পী তার মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় হাসপাতালে রয়েছে। ফোনে চার্জ না থাকায় বন্ধ রয়েছে।

তিনি জানান, যদ্দুর জানতে পেরেছি, মেয়েটি হাজীগঞ্জ আলিয়া মাদরাসায় লেখা-পড়া করে। লেখা-পড়ার প্রতি অমনোযোগি। মাদরাসা ছুটি হলেও অনেক দেরী করে বাসায় ফিরা। মোবাইলে ছেলের সাথে কথা বলা। এসব বিষয় নিয়ে তার মা বকা দেয়ায় সে ঘরে থাকা কেরোসিন তৈল গায়ে ঢেলে আত্মহত্যার চেস্টা করে।

রোববার সকালে অগ্নিদগ্ধ সিপার এক চাচা জানান, সিপার পুরো শরীর ফুলে গেছে। বাঁচার কোন আশা নেই। তার খাদ্যনালীও পুড়ে গেছে। শনিবার গভীর রাতে সিপাকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।