Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

পরকীয়া সম্পর্ক: সাটু‌রিয়ায় ‌সউদী প্রবাসীর স্ত্রী ও শিশু পুত্র‌কে হত্যা ক‌রে আপন দেবর

সাটুরিয়া (মা‌নিকগঞ্জ) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০২০, ১০:৫০ এএম | আপডেট : ১০:৫১ এএম, ১১ জানুয়ারি, ২০২০

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা সদরের উত্তর কাউন্নাড়া এলাকার সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী পারভিন আক্তার (২৬) ও তার শিশু পুত্র নূর হো‌সেনকে (৫) হত্যা ঘটনায় নিহত পারভিনের দেবর সোলাইমান হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ম‌তিয়ার রহমান মিঞা শুক্রবার রা‌তে ঘটনায় নিহত পারভীনের দেবর সোলাইমানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার বিষ‌য়টি নিশ্চিত করেছে।

গত বুধবার গভীর রাতে সাটুরিয়ার উত্তর কাউন্নারা গ্রামের সৌদি প্রবাসী মজনু মিয়ার স্ত্রী পারভিন আক্তার ও তার ৫ বছরের ছেলে নুর হোসেন তাদের দুতলা ফ্ল্যাট বাসায় খুন হয়। সকালে পুলিশ তাদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে। প‌রে এই ঘটনায় নিহত পারভীনের মা মজিরন বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ৯ এর বিচারক জান্নাতুল রাফিন সুলতানের কাছে সোলাইমান হোসেন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। পরে সোলাইমানকে রাতেই আদালত থেকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে সোলাইমান হোসেন খুনের কথা স্বীকার করেছে। স্বীকারোক্তি অনুয়ায়ী সোলাইমান হোসেনের সাথে তার মেঝ ভাই মজনু মিয়ার স্ত্রী পারভীনের পরকীয়ার সম্পর্ক তৈরি হয়। তিন মাস আগে সোলাইমান মালয়েশিয়া থেকে পড়াশুনা করে দেশে আসে। এরপর পারভীনের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক আরও গভীর হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পারভীন সোলাইমানকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে সোলাইমান হোসেন পারভীনের ঘরে প্রবেশ করে। তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্কের এক পর্যায়ে পারভীন আক্তার সোলাইমানকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে।

সোলাইমান দুই ভাতিজা আব্দুল করিম (১০) ও নুরের (৫) কথা চিন্তা করে বিয়ের জন্য রাজি হননি। বিয়েতে রাজি না হওয়াতে পারভীন আক্তার তার নিজের দুই ছেলে, স্বামী ও সোলাইমানকে হত্যার হুমকি দেয়। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় সোলাইমান ঘরে থাকা ধারাল চাকু দিয়ে পারভীনের গলায় আঘাত করেন। ভাতিজা আব্দুল নুর জেগে উঠলে তাকেও চাকু দিয়ে হত্যা করে সোলাইমান এবং রক্তমাখা চাকু ও তার পরিহিত কাপড় ধুয়ে নিজ ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাটু‌রিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম জানায়, সাটুরিয়াতে মা ছেলে খুনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় হত্যাকাণ্ডের সাথে ‌দেবর সোলাইমান জড়িত। তাকে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসবাদে সোলাইমান হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে।

শুক্রবার বি‌কে‌লে তাকে আদালতে তোলা হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হত্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ