Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধামরায়ে বাসে নারী শ্রমিককে ধর্ষণের পর হত্যা, চালক গ্রেফতার

সাভার থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০২০, ৯:৫০ এএম | আপডেট : ৩:৩২ পিএম, ১১ জানুয়ারি, ২০২০

ঢাকার ধামরাইয়ে কাওয়ালীপাড়া-বালিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের ভিতর এক নারী শ্রমিককে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় পুলিশ বাসটি জব্দ ও এর চালককে গ্রেফতার করেছে।

শনিবার সকালে বাসচালককে গ্রেফতারের পর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা। এর আগে শুক্রবার গভীর রাতে ধামরাইয়ের কাওয়ালীপাড়া-বালিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে হিজলী খোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে একটি ঝোপের মধ্যে থেকে ওই শ্রমিকের লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

গ্রেফতার ফিরোজ ওরফে সোহেল (৩০) রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানা এলাকার আমানত খানের ছেলে। সে ধামরাইয় উপজেলার জেঠাইল গ্রামে শশুর বাড়ি থেকে কালামপুর এলাকার প্রতিক সিরামিক্স কারখানার শ্রমিকবাহী বাসের চালক।

ধামরাইয়ের কাওয়ালীপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ বলেন, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ১৯বছর বয়সী ওই নারী শ্রমিককে তার মা বাড়ির পাশ থেকেই একটি বাসে কারখানায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে উঠিয়ে দেন। কিন্তু সন্ধ্যা পরও মেয়ে বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাননি। পরে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ধামরাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন মমতার পরিবার।

এরপর পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা রাতে কাওয়ালীপাড়া-বালিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশদিয়ে তাকে খুঁজতে থাকেন। পরে সড়কের পাশে হিজলী খোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের একটি ঝোপে তার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তারা। তিনি বলেন, মৃতের গলায় আঘাতের দাগ রয়েছে। তাকে বাসের ভিতরে ধর্ষনের পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

কাওয়ালীপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) রাসেল মোল্লা জানান, রাতেই ওই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় লাশের গলায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। এছাড়া নিহতের নারীর পড়নের কামিজ ছেড়া অবস্থায় পাওয়া গেছে। ধারনা করা হচ্ছে হত্যার আগে তাকে ধর্ষন করা হয়েছে।

ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, থানায় জিডি হওয়ার পরই বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে রাতেই আমরা হত্যাকারীসহ বাসটিকে আটক করতে সক্ষম হই। আটক বাসচালকের মুখে হাতে ও গলায় নখের আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এঘটনায় ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হত্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ