মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যাই বলুন না কেন নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকল বাগদাদ। ইরাকের মাটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের জন্য বৃহস্পতিবার রাতে আমেরিকার পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেওকে পষ্ট জানিয়ে দিলেন ইরাকের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মেহেদি। ইরাকের বক্তব্য, কবে, কিভাবে সেনা প্রত্যাহার করা হবে তা বাগদাদকে জানাক ওয়াশিংটন।
ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল সোলাইমানির মার্কিন ড্রোন হামলায় মৃত্যুর পরই আন্দোলিত হয়ে উঠেছে তামাম উপসাগরীয় অঞ্চল। বাগদাদে হত্যা করা হয়েছিল সোলাইমানিকে। এই অবস্থায় গোড়া থেকেই চাপে ছিল ইরাক। কিন্তু তার পর মুসলিম দেশগুলিতে এতোটাই ক্ষোভ উগরে উঠেছে যে শেষমেষ কদিন আগে ইরাকের সংসদেও প্রস্তাব পাশ করিয়ে বলা হয়েছিল যে তাদের দেশের মাটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।
যদিও তখনও প্রশ্ন উঠেছিল যে সংসদ প্রস্তাব পাশ করলেই হবে না। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মেহেদি ওই প্রস্তাবে সই না করা পর্যন্ত নিশ্চিন্ত থাকতে পারে আমেরিকা। কিন্তু ঘটনা হল, মেহেদির নিজের গদিই নড়বড়ে। সংসদের গরিষ্ঠ সংখ্যক সদস্যের মতের কাছে নতি স্বীকার করা ছাড়া তারও উপায় ছিল না।
ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শুক্রবার বলা হয় যে, মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেও প্রধানমন্ত্রী মেহেদির সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের দু’জনের মধ্যে ফোনে কথা হয়েছে। তখনই সেনা প্রত্যাহারের কথা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী।
ইরাকি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মেহেদির বক্তব্য পরিষ্কার। ইরাকের সার্বভৌমত্বে আঘাত হেনেছে মার্কিন সেনাবাহিনী। তাদের দেশের মাটিতে থেকে ইরানের বাহিনীর উপর আঘাত করেছে তারা। এই নিয়মভঙ্গের পর তাদের দেশে আর মার্কিন বাহিনীকে রাখতে দেওয়া যায় না।
ইতিমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একবার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে সহজে সেনা প্রত্যাহার তিনি করবেন না। বরং এও বলেছেন তিনি যে তা করতে হলে ইরাককে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, ট্রাম্প যাই বলুন না কেন কোনও সার্বভৌম রাষ্ট্র না চাইলে আমেরিকা গায়ের জোরে সেখানে তাদের সেনা বসিয়ে রাখতে পারবে না। সেরকম করলে ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়তে পারে ট্রাম্প প্রশাসন। সূত্র: সিএনবিসি।
ইরাক, মার্কিন সেনা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।