মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কাশ্মীর ও সিএএ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। তার মন্তব্যে রীতিমতো অখুশি মোদি সরকার মালয়েশিয়া থেকে পাম তেল কেনার ওপর বিধিনিষেধ চালু করল।
প্রধাণত, মালয়েশিয়াকে শিক্ষা দিতেই অশোধিত পাম তেলের আমদানিকে ভারতের ‘নিয়ন্ত্রিত’ তালিকায় রাখা হয়েছে। এতদিন এই আমদানি ‘ফ্রি’ ছিল। তার মানে ভারত এখন শুধু অশোধিত পাম তেল আমদানি করবে, পরিশেোধিত পাম তেল নয়। এতে মালয়েশিয়ার রপ্তানি কমে যাবে। সুবিধা হবে ইন্দোনেশিয়ার। কারণ, ভারত ইন্দোনেশিয়া থেকে মূলত অপরিশোধিত পাম তেল ও পামোলিন আমদানি করে। আর পরিশোধিত পাম তেল আসতো মালয়েশিয়া থেকে।
নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের বিজনেস এডিটর জয়ন্ত রায়চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘মালয়েশিয়াকে শিক্ষা দিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিছুদিন থেকেই মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলির সঙ্গে চুক্তির নবীকরণ করা হচ্ছিল না। বরং ইন্দোনেশিয়ার সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করা হচ্ছিল। মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে বানিজ্যিক ব্যবস্থা নেওয়ায় মোহাথির অসুবিধায় পড়বেন, ভারতের কিছু হবে না। কারণ, ভারত তো ইন্দোনেশিয়া থেকে পাম তেল পেয়েই যাচ্ছে।’
কী বলেছিলেন মাহাথির, যার জেরে এই ব্যবস্থা নেওয়া হল? গত অক্টোবরে মাহাথির বলেছিলেন, কাশ্মীরে হামলা করে তা দখল করে রেখেছে ভারত। গত মাসে তিনি বলেছেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের জন্য ভারতে অশান্তি দেখা দিয়েছে।
সচরাচর অন্য দেশের রাষ্ট্রনেতারা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে সচরাচর মন্তব্য করেন না। এর ব্যতিক্রম নেই তা নয়, তবে নিজের দেশের স্বার্থবিরোধী না হলে অন্য কোনও দেশ সংসদে অনুমোদিত কোনও আইন সম্পর্কে মুখ খোলে না। মাহাথির অবশ্য সে সবের তোয়াক্কা না করে সরাসরি কাশ্মীর ও সিএএ নিয়ে বলেছেন। এটি ভালভাবে নিতে পারেনি মোদি সরকার। বানিজ্য বিধিনিযেধ সে জন্যই। জয়ন্ত রায়চৌধুরীর মতে, ‘এটা অন্য দেশের প্রতি একটা বার্তাও।’
ভারতের মতো বাজার, বিশ্বের খুব কম দেশেই আছে। তাই ভারতের বিরোধিতা করার আগে অন্যদেরও দু-বার ভাবতে হয়। মালয়েশিয়া থেকে পাম তেল সবথেকে বেশি পরিমাণে ভারতেই আসত। তাই এই সিদ্ধান্ত আর্থিক দিক থেকে তাদের সমস্যায় ফেলতে পারে। সূত্র: নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।