মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বাছাই করা সদস্যদের অধিকৃত কাশ্মীর ঘুরিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিল ভারতের কেন্দ্র তথা বিজেপি সরকার। আবার প্রায় একই পরিকল্পনা করেছিল তারা। আজ দু’দিনের সফরে ইইউ দেশগুলির পার্লামেন্টের সদস্যদের কাশ্মীরে যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তারা যাননি। ভারত সরকারের নির্ধারিত সফরসূচিতে (গাইডেড ট্যুর) আপত্তি জানিয়েই ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা উপত্যকায় যাননি বলে সূত্রের খবর। জানা গেছে, জম্মু-কাশ্মীরের ‘বন্দি’ তিন সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান চেয়েছিলেন তারা। তবে সফরে গিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত-সহ ১৬ জনের বিদেশি প্রতিনিধি দল।
গত ৫ আগস্ট সংসদে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের ঘোষণার পর থেকেই কাশ্মীর উপত্যকাকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিল। গোটা উপত্যকায় ইন্টারনেট, মোবাইল, ল্যান্ডলাইন, কেবল পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করে রেখেছিল কেন্দ্র। অধিকাংশ জায়গায় কারফিউ জারি করে মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর অতিরিক্ত সেনা। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের জেরে আন্তর্জাতিক মহলে চাপের মুখে পড়ে কেন্দ্র। এ ভাবে উপত্যকাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা কার্যত মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলে অভিযোগ উঠেছিল আন্তর্জাতিক নানা মহল থেকে।
সেই পরিস্থিতিতেই আন্তর্জাতিক মহলকে তুষ্ট করতে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের প্রায় তিন মাস পর অক্টোবরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাছাই করা সদস্যদের কাশ্মীর ঘোরানোর বন্দোবস্ত করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু তা নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। প্রথমত, সরকারের নির্ধারিত রুটে তারা সফর করেছেন। ফলে উপত্যকার প্রকৃত অবস্থা তারা কতটা বুঝতে পেরেছেন, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। আবার বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছিলেন, দেশের কোনও রাজনৈতিক নেতাকে যখন কাশ্মীরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, সেখানকার শীর্ষ নেতাদের ‘বন্দি’ করে রাখা হয়েছে, অথচ বিদেশি প্রতিনিধিদের ঘোরানো হচ্ছে।
এই বিতর্কের আঁচ আন্তর্জাতিক মহলের কাছেও অজানা নয়। তাই এ বারের প্রতিনিধিরা দাবি করেছিলেন, গাইডেড ট্যুর নয়, তারা স্বাধীন ভাবে উপত্যকায় ঘুরতে চান। তাদের নিজেদের পছন্দমতো সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে চান। তা ছাড়া ‘বন্দি’ জম্মু-কাশ্মীরের তিন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতি-সহ অন্য নেতাদের সঙ্গেও দেখা করে এবং কথা বলে উপত্যকার পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করতে চান তারা। তাতে ভারত রাজি না হওয়ায় ইইউ প্রতিনিধিরা সফরে যোগ দেননি বলে প্রতিনিধিদের একাধিক সূত্রে খবর। সূত্র: এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।