পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফেলানী হত্যার বিচার, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, এনআরসি ও সিএএ এর বিরুদ্ধে সংগ্রামরত ভারতীয় জনতার পক্ষে অবস্থান ও ভারতের সাথে সম্পাদিত গনবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ফেলানী হত্যার ৯ বছরকে স্মরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্ত¡রে ৯টি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত আগ্রাসন বিরোধী ছাত্রমঞ্চের উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সমাবেশ শেষে প্রতিবাদী গানের আয়োজন ছিলো।
আগ্রাসন বিরোধী ছাত্রমঞ্চের মধ্যে রয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ও ছাত্র গণমঞ্চ।
সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল বলেন, স্বাধীনতার পর থকে আজ পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্তে যত হত্যা হচ্ছে প্রত্যেকবারই সরকার নিঃশ্চুপ থেকেছে। ফেলানী হত্যা তারই একটি ধারাবাহিকতা। আমরা বলি ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো আগ বাড়িয়ে বলেছে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর মতো। প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করেছেন, তিনি ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেওয়ার ব্যাবস্থা না করে ফেনী নদীর পানি দিয়ে এসেছেন। একদিকে ভারতে ইলিশ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। অন্যদিকে ভারত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করেছে। এভাবে আগ্রাসন চলছে। যারা মনে করে যে ভোটারবিহীন ভাবে ক্ষামতায় টিকে থাকা যায় যারা লালন করে যে কোন নারীর উপর ধর্ষন করা যায়। ভারতের হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রের বিপক্ষে যেমন ভারতীয় জনগণ লড়াই করে চলছে, ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবের বিরুদ্ধেও বাংলাদেশের জনগনকে লড়াই করতে হবে।
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবির বলেন, ফেলানী হত্যার বিষয়টিকে কয়েক ভাবে বিবেচনা করা যায়। একজন মানুষকে গুলি করে হত্যা করে কাটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছে যেটা মানবতার সর্বোচ্চ অবনতি। অন্যদিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে। ফেলানী হত্যার পর সরকারের ােন প্রতিক্রিয়া আমরা দেখিনি। বিচার নিশ্চিত করতে কোন পদক্ষেপ নেননি। তিনি আরো বলেন, ফারাক্কা বাঁধ, ৫৪ টি অভিন্ন নদীতে বাঁধ ভারতের আগ্রাসী মনোভাবের উদাহারণ। সরকার ফেনী নদী থেকে পানি উত্তোলন, বন্দর ব্যাবহারসহ অসংখ্য গনবিরোধী চুক্তি করেছে। বর্তমান ফ্যাসিবাদ সরকারকে পতন করে ভারতের সাথে করা সকল আগ্রাসী চুক্তি বাতিল করতে হবে।
ছাত্রফন্টের সভাপতি আল কাদেরী জয় বলেন, বলা হয়ে থাকে ভারত বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। ভারত কোন বন্ধু রাষ্ট্র নয়। ভারত শুধুমাত্র আগ্রাসী রাষ্ট্র। ভারত আগ্রাসনের মাধ্যমে নদী, বন্দর সব দখল করে রেখেছে। পৃথিবীতে সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া হয় যুদ্ধরত দুইদেশের সীমানায়। মধ্যখানে কাঁটাতার ঝুলিয়ে কীভাবে বন্ধুরাষ্ট্র হয়।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।