Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরিষাবাড়ীতে প্রভাবশালীদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে নিরীহ পরিবার

১৪৪ ধারা অমান্য করে বসতভিটা বেদখলের পায়তারা

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০২০, ৫:১০ পিএম

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে প্রভাবশালীরা নিরীহ পরিবারের বসতভিটার জমি বেদখলের পায়তারা করছে। ভূমিদস্যুদের ভয়ে নিরীহ ওই পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছে না তারা।

মামলা ও ভূক্তভোগী পরিবার সূত্র জানায়, সরিষাবাড়ী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের আরামনগর (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে হারুন আল রশিদ দীর্ঘদিন ধরে তার পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। তিনি বাড়ি সংলগ্ন ভূরারবাড়ি মৌজায় বাংলাদেশ রেলওয়ের সিএস ৫৫২, ৫৫৩, ৫৫৪ ও ৬৬৯ নম্বর দাগের পরিত্যক্ত ৩৮ শতক জমি ১৯৯৫ সালে সরকারের কাছ থেকে নীতিমালা অনুসারে ইজারা নেন। তারপর ১৪-০৪-১৯৯৫ইং তারিখ থেকে অদ্যবধি তিনি ওই জমির খাজনা নিয়মিত পরিশোধ ও ইজারা নবায়ন করে আসছেন। ওই জমিটির উপর স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যুদের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। বাধ্য হয়ে হারুন আল রশিদ ৪-১১-২০১১ইং তারিখে সরিষাবাড়ী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত ২০১৭ সালে তার পক্ষে ডিক্রি দেন। এদিকে সম্প্রতি একই গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মুস্তাক ও ফিজুর, মৃত আহেদ আলী সেকের ছেলে শহিদ ও তার ছেলে বিদ্যুৎ ওই জমিটি বেদখলের পায়তারা শুরু করে। এ ব্যাপারে হারুন আল রশিদ তাদের বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নম্বর ১১০৪, তারিখ ২৫-১২-২০১৯ইং) করেন। সাধারণ ডায়েরির তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই আবু সামা সরেজমিনে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৩১-১২-২০১৯ইং তারিখে বিবাদীদের ওই জমিতে গমনে নিষেধাজ্ঞা (১৪৪ ও ১৪৫ ধারা) আরোপ করেন।

এদিকে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওই ভূমিদস্যুরা হারুন আল রশিদকে খুন-জখমের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় দলবল নিয়ে জমিটি বেদখলের পায়তারা করায় আতঙ্কে তিনি পরিবার নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
ভূক্তভোগী হারুন আল রশিদ জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রভাবশালীরা তা মানছে না। তাদের হুমকিতে আতঙ্কে দিন যাচ্ছে। নিজবাড়ি ছেড়ে শশুরবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।

এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই আবু সামা বলেন, আদালতের নির্দেশে আমি বিবাদীদের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করেছি। তারা আদালতের আদেশ না মানলে যথাযথভাবে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ