রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা
পদ্মা নদীর পাড় ভাঙন শুরু। বর্ষা শুরু হতে না হতেই ঢাকার দোহারে ফের শুরু হয়েছে পদ্মা নদীর ভাঙন। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে নদী পাড়ের সাধারণ মানুষ। ৪-৫ বছর আগেও যেখান ছিল আবাসন, জমি, বাজার তা এখন প্রমত্তা পদ্মার দখলে। গত বছর ভাঙনের মাত্রা কম থাকলেও পদ্মার গতিবিধি, স্রোত, ঘূর্ণি, ভাঙন নিয়ে ভবিষ্যৎ বাণী করা যায় না বলে শঙ্কায় এলাকাবাসী। দোহার উপজেলার নদী ভাঙন প্রবণ এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামে গ্রীস্মকালীন মাঝামাঝি সময়েই ভাঙন শুরু হয়ে গেছে। পদ্মায় পানি বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে নদী ভাঙনের তীব্রতা। বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, বসতভিটা ও গাছ-গাছালি। একারণেই দরিদ্র কৃষিজীবী পদ্মা পাড়ের বাসিন্দারা ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পদ্মা পাড়ের মানুষ। গত বছর স্থানীয়ভাবে বাঁশ, বালুর বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধে বাঁধ বিচ্ছিন্নভাবে দেয়া হলেও এবছর ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার জন্য স্থানীয় বা সরকারিভাবে নেয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। অবিলম্বের বালুর বস্তা ও সিসি ব্লক ফেলে ভাঙন রক্ষার জন্য বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই যথাযথ উদ্যোগ নিয়ে বাঁধ নির্মাণ করে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি দাবি জানিয়েছেন পদ্মা পাড়ের মানুষ। গত এক মাসে অর্ধশতাধিক পরিবার তাদের ঘর-বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। নদী পাড়ের বাসিন্দা মজিবুর শেখ, তারা মিয়া, আদুসহ আরো অনেকেই জানান, গত ১৫ দিনে নারিশা ইউনিয়নের নারিশা পশ্চিম চর এলাকায় বেশ কয়েকটি বসতভিটা পদ্মা নদীতে চলে গেছে। তারা বলেন, হঠাৎ করে ভাঙনের কারণে অনেকেই তাদের বসতবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। তাদের দাবি, সরকার পদ্মা ভাঙন রোধে দ্রুত কাজ করবে। কিন্তু উপজেলার বাহ্রাঘাট থেকে অরঙ্গাবাদ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার পর্যন্ত পদ্মা নদী ভয়াবহ ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার জন্য একটি প্রকল্প দাখিল করা হলে সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। দোহার উপজেলার নারিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন দরানি বলেন, বর্ষা মৌসুমের আগেই হঠাৎ করে পদ্মার পানি বৃদ্ধির ফলে এই ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, আমার নিজ উদ্যোগে ভাঙন এলাকায় বাঁশ দিয়ে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে আমার দাবি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার। একই ধরনে কথা বললেন, পদ্মা নদী ভাঙন কবলিত বিলাশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লা। তিনি বলেন, এখনই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে পদ্মা পাড়ের মানুষ হারাবে তাদের বসতবাড়িসহ ফসলি জমি। দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম আল-আমীন বলেন, দোহারের যেসব স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে সেসব জায়গায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলেই আমরা কাজ শুরু করব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।