পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকের বিচার দাবিতে ২য় দিনের মতো উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন সংগঠন, বিভাগ ও সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়ে ধর্ষকের বিচারের দাবি জানাচ্ছেন তারা।
ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে চার দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন চার শিক্ষার্থী।
ধর্ষণের খবর পাওয়ার পরপরই রোববার রাত সাড়ে তিনটা থেকে অনশনে বসেন দর্শন বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মো. সিফাতুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
পরদিন ধর্ষণের প্রতিবাদে ক্যাম্পাস উত্তাল হয়ে ওঠার মধ্যে সিফাতের সঙ্গে আরও তিন শিক্ষার্থী অনশনে যোগ দেন; তাদের সেই কর্মসূচি মঙ্গলবারও অব্যাহত রয়েছে।
অনশনে থাকা অন্য তিনজন হলেন মৃত্তিকা-পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞানের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মো. সাইফুল ইসলাম রাসেল, তথ্য ও প্রযুক্তি ইনস্টিউটের একই বর্ষের ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান নাফিজ এবং ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মো. আব্দুর রহমান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণে ‘আমি বাংলাদেশ,, আমি লজ্জিত’ আলপনা অঙ্কন করে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করছেন। সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ধর্ষণের প্রতিবাদে প্রতিবাদী আলপনা অঙ্কন করে। সেখানে লেখা ‘আমি বাংলাদেশ আমি লজ্জিত’। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন প্লেকার্ড ও স্লোগানে ধর্ষকের বিচার দাবি করছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে এসেছে।রঙ তুলি দিয়ে প্রতিবাদ করছেন। আমরা একটি নিপিড়ন মুক্ত সমাজ চাই। দোষদের অতি দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়,সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্রদল। একইসঙ্গে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে আলটিমেটাম দেয়া হয়েছে। অন্যথায় ছাত্রসমাজকে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে জানায় ছাত্রদল।
বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাবি ছাত্রদলের আহবায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন এবং সংসদের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসাইন শ্যামল। এছাড়া কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নেতৃবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন হল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, অধিভুক্ত কলেজের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ধর্ষণের বিরুদ্ধে মৌণ মিছিলের আয়োজন করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা বলেন, মৌণ মিছিলের মাধ্যমে আমরা বিচারহীনতার প্রতি নিরব প্রতিবাদ করছি। সেই সাথে আমরা দাবি করছি যে সারা দেশের সকল ধর্ষককে যেন আইনের আওতায় আনা হয় এবং আমার বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে যারা ধর্ষণ করেছে তারে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে ধর্ষকের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে শিক্ষার্থীরা ধর্ষনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। তাদের সাথে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক। সমাবেশে ধর্ষনের প্রতিবাদস্বরূপ কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে তারা।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ বলেন, আজকে যে উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে, সেটা কিরকম উন্নয়ন। যেখানে আমাদের মেয়েদের নিরাপত্তা দিতে পারেনা। এই প্রতিবাদের মাধ্যমে বলতে চাই আমাদের মেয়েকে যে শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষনের মত জঘন্য কাজ করা হয়েছে তার অনতিবিলম্বে শাস্তি চাই। প্রকাশ্যে এর শাস্তি দিতে হবে।এমন বিচার চাই যে বিচার ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
উল্লেখ্য, গত পড়শু দিন রাতে রাজধানীর কুর্মিটলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করলে সেদিন রাত থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তারই অংশ হিসাবে এই মৌণ মিছিল। মিছিলটি অপরাজেয় বাংলা থেকে শুরু করে রাজু ভাস্কর্য ও কার্জন হলসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।