Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

উত্তরপ্রদেশ দিয়েই নাগরিকত্ব আইন কার্যকর শুরু

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৪১ পিএম

ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বাস্তবায়নের কাজ শুরু করল সর্বপ্রথম উত্তরপ্রদেশ। ভারতের এ রাজ্যে বসবাসকারী শরণার্থীদের তালিকা তৈরির সব নির্দেশনা দিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। যোগীর রাজ্যই প্রথম এই আইনের আওতায় নাগরিকত্ব প্রদান করার বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে।
যোগী আদিত্যনাথের সরকার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) আওতায় পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান-এই তিন দেশের হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে। ওই শরণার্থীদের চিহ্নিত করে ইতিমধ্যেই একটি তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অবনীশ অবস্থী গত রবিবার জানান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা যেসব শরণার্থী নাগরিকত্ব ছাড়াই উত্তরপ্রদেশে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন, তাদের চিহ্নিত করতে রাজ্যের প্রতিটি জেলা শাসককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আফগানিস্তান থেকে এ রাজ্যে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা কম হলেও এখানে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের এমন বহু মানুষ রয়েছেন যারা নিজেদের দেশ থেকে বিতাড়িত। তাঁর মতে, একমাত্র ‘বৈধ’ শরণার্থীরাই যাতে এদেশের নাগরিকত্ব পান, তা নিশ্চিত করাই রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য। সে কারণেই ওই তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নাগরকিত্ব আইন নিয়ে দেশজুড়ে কেন্দ্র-বিরোধী একাধিক রাজনৈতিক দল প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। নাগরিকত্ব আইন তৈরি করে কেন্দ্র বিভাজনের রাজনীতি করছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী নেতারা। ইতিমধ্যেই বিজেপি বিরোধী একাধিক রাজ্য এই আইনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর রাজ্যে কোনওভাবেই নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করবেন না বলে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও নাগরিকত্ব আইন সেরাজ্যে চালু করবেন না বলে জানিয়েছেন। এরই পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান-সহ কয়েকটি রাজ্যও এই ইস্যুতে কেন্দ্র বিরোধিতায় সামিল।
সিএএ নিয়ে দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতোই বিক্ষোভ-প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে উত্তরপ্রদেশেও। এই বিক্ষোভ চরম আকার ধারণও করেছিল। এ জন্য কমপক্ষে ২৮ জন নিহত হয়। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে পুলিশি নির্যাতনেরও অভিযোগ উঠেছে যোগী প্রশাসনের বিরুদ্ধে। তবে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ সত্তেও সিএএ বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর রাজ্য প্রশাসন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ