নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টানা তিন টেস্টেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করল নিউজিল্যান্ড। নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন না থাকায় পরিস্থিতি যে কঠিন হবে তা বোঝাই যাচ্ছিল। কিউইরা কতটা প্রতিরোধ গড়তে পারে সেটাই ছিল দেখার। সিডনিতে চতুর্থদিনেই ভেঙে পড়ল তাদের সব প্রতিরোধ। ২৭৯ রানে হেরে তিন টেস্টের সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো কিউইরা।
গতকাল সিডনি টেস্টের চতুর্থ দিনে ২ উইকেটে ২১৭ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। ৪১৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে নিউজিল্যান্ড বিপদে পড়ে যায় শুরুর দিকেই। ২ ওভারের ব্যবধানে ওপেনার টম ব্লান্ডেল (১) ও টম ল্যাথামকে (২) তুলে নেন মিচেল স্টার্ক। এরপর উইকেট-উৎসব শুরু করেন নাথান লায়ন। একই স্কোরে জিত রাভাল ও গ্লেন ফিলিপসকে আউট করেন তার অফ স্পিনে।
অভিজ্ঞ রস টেলর কিছুক্ষণ ব্যাট করে ২২ রান তুলতে পারেন। প্যাট কামিন্সের বলে বোল্ড হয়ে ফিরলেও কিউইদের ইতিহাসে টেস্টের সর্বাধিক রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। টেলরের রান ৭ হাজার ১৭৪। পেছনে ফেলেছেন স্টিভেন ফ্লেমিংকে। তার রান ছিল ৭ হাজার ১৭২।
কিউই ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে কিছুটা প্রতিরোধ ছিল শুধু কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের ব্যাটে। ৫২ রান করে অজিদের জয়টাকে একটু বিলম্বিতই করেছেন শুধু। সর্বোচ্চ ইনিংস খেলা এই অলরাউন্ডারকে ফিরিয়েছেন প্রধান ঘাতক লায়ন। ম্যাট হেনরি চোট আক্রান্ত থাকায় মাঠে নামেননি। ১৩৬ রানেই শেষ কিউইদের দ্বিতীয় ইনিংস। ৫০ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন লায়ন। আগের ইনিংসেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট পেয়েছেন, এই নিয়ে পেয়ে গেলেন টানা দ্বিতীয়বারের মতো। ২৫ রানে ৩ উইকেট স্টার্কের।
এবারের অস্ট্রেলিয়ান গ্রীষ্মে টানা পঞ্চম টেস্ট জয়ের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ দিন শুরু করেছিল দুর্দান্তভাবে। ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ৫ ইনিংস পর সেঞ্চুরি তুলে নেন। রোরি বার্নস ৪০ রানে ফিরে গেলে ওয়ার্নারের যোগ্য সঙ্গী হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছিলেন আগের ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি পাওয়া মার্নাস লাবুশেন। ব্যক্তিগত ৫৯ রানে তার উইকেট পতনের পর ২ উইকেটে ২১৭ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার অপরাজিত থাকেন ১১১ রানে।
দুই ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েও ম্যাচসেরা হতে পারেননি লায়ন। প্রথম ইনিংসের ডাবল সেঞ্চুরির(২১৫) সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসের ফিফটিতে লাবুশেনের হাতেই উঠেছে ম্যাচসেরার পাশাপাশি সিরিজসেরার পুরস্কার।
অস্ট্রেলিয়া : ৪৫৪ ও ২য় ইনিংস : (আগের দিন ৪০/০) ৫২ ওভারে ২১৭/২ ডিক্লে. (ওয়ার্নার ১১১*, বার্নস ৪০, লাবুশেন ৫৯; হেনরি ১/৫৪, অ্যাস্টল ১/৪১)। নিউজিল্যান্ড : ২৫৬ ও ২য় ইনিংস : ৪৭.৫ ওভারে ১৩৬ (ল্যাথাম ১, ব্লান্ডেল ২, রাভাল ১২, টেইলর ২২, ওয়াটলিং ১৯, ডি গ্র্যান্ডহোম ৫২, অ্যাস্টল ১৭; স্টার্ক ৩/২৫, কামিন্স ১/২৯, লায়ন ৫/৫০)। ফল : অস্ট্রেলিয়া ২৭৯ রানে জয়ী। সিরিজ : ৩ ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ৩-০ ব্যবধানে জয়ী। ম্যাচসেরা : মার্নাস লাবুশেন। সিরিজ : মার্নাস লাবুশেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।