নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
১৮ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে পা দিয়েছে কিউইরা। লক্ষ্য তিন ওয়ানডে ও পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ। কিন্তু, সিরিজ আর মাঠে গড়ালো কই! গতকাল প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামার আগেই শেষ হয়ে গেল পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের ঐতিহাসিক সিরিজ। প্রথমে কিউই শিবিরে করোনা ছড়িয়ে পড়াটাকেই কারণ মনে করা হলেও, পরে জানা গেছে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পাকিস্তান সিরিজ বাতিল করেছে নিউজিল্যান্ড।
এক বিবৃতিতে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট জনিয়েছে, শুক্রবার প্রথম ওয়ানডে মাঠে গড়ানোর কথা থাকলেও, আমরা খেলার ঝুঁকিটা নিতে চাইনি। আমাদের নিরাপত্তারক্ষীরা জানায় পাকিস্তানে আমাদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে। এরপরেই ব্ল্যাকক্যাপসরা সিরিজ না খেলার সিদ্ধান্ত নেয়। শেষমুহুর্তে আচমকা কিউইদের সিরিজ না খেলার সিদ্ধান্তে হতাশ পাকিস্তান ক্রিকেট। সিরিজ আয়োজনে যথেষ্ঠ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলেই জানানো হয় পিসিবির পক্ষ থেকে। এক বিবৃতিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, ম্যাচ শুরুর আগে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের পক্ষ থেকে জানানো হয় তারা কিছু হুমকি পেয়েছেন এবং সিরিজটি খেলতে ইচ্ছুক নন। অথচ টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই তাদেরকে নিরাপত্তার ব্যাপারে পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত করা হয়, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রির মধ্যেও আলোচনা হয়। কিউইদের নিরাপত্তা দল সন্তুষ্টই ছিল, কিন্তু শেষমুহুর্তে এসে তাদের নেয়া এমন সিদ্ধান্তে পাকিস্তান ক্রিকেট এবং ক্রীড়াপ্রেমীরা প্রত্যেকেই হতাশ। আমরা সিরিজটি আয়োজন করতে চেয়েছিলাম।
সিরিজ শুরু না হতেই দুদলকেই পেতে হয়েছে দুঃসংবাদ। ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) না থাকায় আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ হিসবে গণ্য করা হচ্ছে না আসন্ন পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজকে। দুঃসংবাদের পাল্লাটা যে আরো ভারীই হতে যাচ্ছে তা বোঝা গেছে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও প্রথম ওয়ানডের টসটাই মাঠে না গড়ানোয়। টস হবে কিভাবে! মাঠেই তো আসেনি দু’দলের কেউই। তাদের থাকতে বলা হয়েছে নিজ নিজ কক্ষে। সেইসাথে স্টেডিয়ামের গেট বন্ধ করে রাখাতে ঢুকতে পারেনি দর্শকেরাও।
কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা। নিউজিল্যান্ড নিরাপত্তাকর্মীদের আশঙ্কার কারণে দুই দেশের সরকারের আলোচনায় সিরিজটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।